হ্যালোডেস্ক
একমাত্র ছেলের মৃত্যু শোক তাকে যেন পাথর করে দিয়েছিল। এ ক’দিন শুধুই ছেলের ছবিটার সামনে বসে চোখের জল ফেলেছেন তিনি । আবার নিজের সমস্ত দায়িত্ব-কর্তব্যও পালন করতেও ভোলেননি। আর হতভাগ্য পিতা হয়তো নিজের মনের মধ্যেও সেই উত্তর খুঁজে গিয়েছেন নিরন্তর, কেন এমন করল ছেলেটা?
সুশান্তের মৃত্যুর ১২ দিন কেটে গিয়েছে। তাঁর আত্মার শান্তি কামনায় রীতি মেনে সমস্ত শ্রাদ্ধশান্তিও সমাপ্ত। সুশান্তের পটনার বাড়িতেই আয়োজন করা হয়েছিল তাঁর স্মরণসভার। সেখানেও ছেলের ছবির সামনে স্থির হয়ে বসে থাকতে দেখা গিয়েছিল অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী কেকে সিং’কে। অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন সুশান্ত সিং রাজপুতের বাবা।
এ দিন সুশান্তের মৃত্যু, প্রেম, সম্পর্ক নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে অঙ্কিতার প্রসঙ্গ উঠে আসে তার কথায়। তিনি স্পষ্টই জানান, অঙ্কিতা পটনার বাড়িতেও এসেছিলেন। তার সঙ্গেই সুশান্তের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল ২০১৬-র শেষ দিকে। কিন্তু ওই বছরের শুরুতেই তাদের ৬ বছরের সম্পর্ক শেষ হয়ে যায়। কিন্তু কেন এই সম্পর্ক পূর্ণতা পেল না, কেনই বা অঙ্কিতার সঙ্গে বিচ্ছেদ করলেন নায়ক? এর উত্তরে কেকে সিং বলেন, এটা তো একটা বন্ধন। যা হওয়ার তাতো হবেই।
সম্প্রতি বাবা-ছেলের মধ্যে বিয়ে নিয়ে কোনও কথা হয়েছিল? সুশান্তের বাবা জানান, হয়েছিল। তবে রিয়া’কে তিনি চেনেন না।
সুশান্ত বলেছিলেন, এখন করোনার কারণে বিয়ে করা যাবে না। তারপর একটা ছবি হাতে আছে। সেটা হয়ে গেলে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চ নাগাদ দেখা যাবে।
তবে কাকে সুশান্ত বিয়ে করবেন তা নাকি জানতেন না। এমনকি অঙ্কিতা ছাড়া ছেলের কোনও বান্ধবীর বিষয়ে তার কোনও ধারণা নেই।
বড় আদরের আর বাবা-মায়ের অনেক আশার ফসল ছিলেন সুশান্ত । চার বোনের একমাত্র ছোট ভাই, পরিবারের একমাত্র ছেলে…সুশান্ত সিং রাজপুত। পরপর চার বার মেয়ে হওয়ার পর সুশান্তের বাবা-মা একটি ছেলের আশায় তিন বছর ধরে প্রার্থনা করেছিলেন। তারপরেই কোলে এসেছিলেন সুশান্ত। সুশান্তের বাবা আরও জানিয়েছেন, ছোট বয়সে খোলামেলা স্বভাবের থাকলেও বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সুশান্ত চাপা স্বভাবের হয়ে যান। তার মনের ভিতরের কথা জানা সম্ভব ছিল না।
Add Comment