হ্যালোডেস্ক
প্রাচীন নগরী ঢাকা। আধুনিক স্থাপত্যে ঝলমল করে উঠলেও এর আড়ালে এখনও প্রচুর প্রাচীন নিদর্শন টিকে আছে আপন মহিমায়। এমনই এক মসজিদ হাজী খাজা শাহবাজ মসজিদ।
স্থাপত্য তথ্য
রমনা রেসকোর্সের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে এবং হাইকোর্টের পিছনে বর্তমান তিন নেতার মাজার লাগোয়া পূর্ব প্রান্তে যে নিরিবিলি মসজিদটি চোখে পড়ে, ওটাই হাজী খাজা শাহবাজ মসজিদ হিসেবে পরিচিত। মোগল শাসনামলে শাহজাদা আযমের সময়কালে ১৬৭৯ খ্রিস্টাব্দে এটি নির্মিত হয়। এর চত্ত্বরে হাজী শাহবাজের সমাধি অবস্থিত। ৬৮ ফুট দীর্ঘ ও ২৬ ফুট চওড়া তিন গম্বুজ বিশিষ্ট এই মসজিদটি আজ ৩৪১ বছড় পরও অক্ষত আবস্হায় রয়েছে। মসজিদের মিম্বর ও চৌকাঠ পাথরের তৈরী। ঐতিহাসিক মুনতাসীর মামুনের মতানুসারে হাজী শাহবাজ ছিলেন একজন অভিজাত ধনী ব্যবসায়ী, যিনি কাশ্মীর হতে সুবা বাংলায় এসে টঙ্গী এলাকায় বসতি স্থাপন করেন।
ইতিহাস
১৬৭৯ সালে তিনি জীবিত থাকাকালেই এই মসজিদ ও নিজের মাজার নির্মাণ করেন। তৎকালে সুবাহদার ছিলেন শাহজাদা মুহম্মদ আজম। খাজা শাহবাজ মসজিদের পাশেই নিজের জন্য মাজার নির্মাণ করেছিলেন।
মাজারের কাঠামো প্রায় মসজিদের মতো। এ কারণে এটি জোড়া মসজিদ নামেও পরিচিত। আবার দেয়ালের লাল রঙ থাকায় মসজিদটি ‘লাল মসজিদ’ নামেও পরিচিতি পায়। মসজিদ ভবনটির স্থাপত্যে উত্তর ভারতীয় মোগল-রীতি লক্ষ্য করা যায়।
স্থাপত্য-রীতি
মসজিদ ভবনটির স্থাপত্যে উত্তর ভারতীয় মোগল-রীতি লক্ষ্য করা যায়।
ভৌগলিক অবস্থান
এই মসজিদের ভৌগলিক অবস্থান ২৩.৭২৯২৯২০° উত্তর এবং ৯০.৪০০৩০৯৬° পূর্ব।
আমাদের সাথে যুক্ত থাকতে লাইক বাটনে ক্লিক করুন। হ্যালোটুডে’র ইতিহাস বিভাগে নিয়মিত লিখতে পারবেন আপনিও। আমাদের সমৃদ্ধ করে তুলতে পারেন, আপনার সৃজনশীল ও বুদ্ধিদীপ্ত লেখা দিয়ে। হ্যালোটুডে আপনার মনের কথা বলে।
Add Comment