রকমারি

পান না যেন আগুনের গোলা!

ছবি: হ্যালোটুডে

আগুন জ্বলছে পানে, ভয়ে শেষ! হাঁ করতেই দিলো মুখে পুরে…

-ফারহানা রহমান তিশা

জ্বলন্ত একটা পান মুখে পুরে এই কথাটিই মনে হবে আপনার। ব্যাপারটা রোমাঞ্চকর বটে!

রাজধানীর মিরপুরে সরকশন-১১, ব্লক-বি, পল্লবী বড় মসজিদের পূর্ব পাশে ‘হাসান দরবার পান’। সেখানে যেয়ে চোখে পড়লো এই পানের দোকানটি।

কাবাব আর লুচি খাওয়ার দাওয়াত ছিল সেদিন। দূর থেকে চোখে পড়লো একটি পানের দোকান। বাহারি সব পান মসলা দিয়ে সাজিয়ে রেখেছে দোকানটি। হরেক রকমের পানের নাম লেখা একটা ম্যেনুতে। দামও তার ভিন্ন ভিন্ন। ২০ টাকা থেকে শুরু করে ১৬০ টাকা দামের পান আছে দোকানটিতে। ‘ফায়ার পান নাম দেখে জানতে চাইলাম পানের সম্পর্কে। ফায়ার বা আগুন পানের কথা ফেসবুকে চোখে পড়েছে কিন্তু নিজের অভিজ্ঞতা একেবারেই নেই। একটি পানের অর্ডার দিয়ে তাঁর বানানোর কেরামতি দেখছি। পান রেডি, আগুন জ্বলছে মুখে দিবে আমার, কিন্তু ভয়! চোখ বন্ধ করে হাঁ করতেই দিলো মুখে পুরে। কোন আগুনই নেই। বাহ্ কি স্বাদ!

পানের দোকানি যিনি ছিলেন, তিনি একাদশ শ্রেনী পাশ করেছেন মাত্র। পড়াশুনার পাশাপাশি এ ব্যবসা করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। তাঁর সাথে বেশ আলাপ জমে উঠলো। নাম আসিফ হাসান। বাবা- শামিম হাসান, সেও এই ব্যবসা করেন গুলশানে তার পানের দোকান। দাদাও মিরপুরে এই শাহি মিষ্টি পানের ব্যবসা করতেন। বংশ পরমপরায় এই ব্যবসা করছেন। অনেক আগে থেকে শাহি মিষ্টি পানের ব্যবসা তাঁর। নতুন যুক্ত করেছেন ‘ফায়ার’ পান। ফায়ার পান বানানো তিনি ইন্টারনেটে দেখে কৌশল রপ্ত করেছেন। তাই নিজেও তরুন হয়ে আদি ব্যবসা হিসেবে তরুণদের জন্যই শাহি মিষ্টি পানের ব্যবসায় যুক্ত হয়েছন।

সেই ফায়ার পান চিবোতে চিবোতে আরও অনেক কথা হয়েছিল আসিফ হাসানের সাথে। বাবা মায়ের মেঝো ছেলে তিনি। বসে না থেকে পড়াশুনার পাশাপাশি শাহী পানের ব্যাবসা করছেন। তাঁর স্বপ্ন— একদিন সে বড় কিছু হবে। তবে সবাইকে সে পান বানিয়ে খাওয়ায় সে। নিজে কখনোই ফায়ার পান খেতে পারেননি। কারণ, তাঁকে ফায়ার পান খাইয়ে দেওয়ার মানুষ নেই।

 

আর্কাইভ

ক্যালেন্ডার

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930