হ্যালোডেস্ক
০২ নভেম্বর ২০২২
সাক্ষাতকার
আজ ০২ নভেম্বর, এসময়ের জনপ্রিয়, প্রতিভাবান ও প্রতিশ্রুতিশীল কবি ও কথাসাহিত্যিক ও শিশুসাহিত্যিক তাহমিনা শিল্পীর জন্মদিন। স্বভাবতই কবিকে ঘিরে তাঁর পাঠকদের মনে নানা কৌতুহল জন্মেছে। তাঁরা কবিকে জানতে চায়।তাই আমরা হ্যালোটুডের পক্ষ থেকে পাঠকদের কৌতুহলী মনের সকল প্রশ্ন নিয়ে আজকের বিশেষ দিনে কবির মুখোমুখি হয়েছি। জেনেছি কবির জানা-অজানা অনেক কথা।
হ্যালোটুডেঃ কেমন আছেন প্রিয় কবি? আজ তো আপনার জন্মদিন। আজকের দিনে আপনার অনুভূতি কি? কি কি পরিকল্পনা আছে বিশেষ এই দিনে?
কবিঃ আলহামদুলিল্লাহ্ , ভালো আছি। জন্মদিন মানেই জীবন সীমান্তের দিকে একধাপ এগিয়ে যাওয়া। স্বাভাবিকভাবেই এটি ভাবলে কিছুটা মন খারাপ হবার কথা।আমার কিন্তু একদমই তেমন হয় না। বরং জন্মদিনটি এলে মনে একধরনের পুলক অনুভব করি।বেঁচে থাকার আনন্দে সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া জানাই।যাঁদের কারনে পৃথিবীর আলো দেখার সুযোগ পেয়েছি মানে আমার আব্বু-আব্বুকে কৃতজ্ঞতা ও সালাম জানাই।আর নিজেকে বলি,মৃত্যু অমোঘ নিয়তি। যে কটা দিন বাঁচবো, হা-হুতোস করে নয়, ছোট এই জীবনকে ভালোবেসেই ভালো থাকতে হবে। অনেক অনেক মানবিক কাজ করতে হবে। আমি যেন কারও কোন ক্ষতির কারণ না হই।
না, জন্মদিনকে ঘিরে আমার বিশেষ কোন পরিকল্পনা নেই, থাকে না কোনদিনই। শুধুমাত্র সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের সাথে কিছুটা সময় কাটানো আমার নিজস্ব পরিকল্পনার অংশ। তবে আমার পরিবার, বন্ধু, সহকর্মী ও শুভাকাঙ্খিরা বরাবরই শুভেচ্ছার বৃষ্টিতে ভিজিয়ে দেয়।নানাভাবে নানা আয়োজনে আমাকে চমকে দেয়।তাদের এই প্রেম, এই ভালোবাসায় আমি রীতিমত মুগ্ধ হই। মন এলিয়ে উপভোগ করি। নিজেকে যারপর নাই ভাগ্যবান মনে হয়। এবারেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। আলহামদুলিল্লাহ।
হ্যালোটুডেঃ আপনার শৈশব, কৈশোর ও পারিবারিক পরিমণ্ডল কেমন ছিল? এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাই।
কবিঃ মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলা ছোট মফস্বল শহরে জন্ম আমার।সেখানেই বাবার চাকরি সুবাদে কলোনীতে কেটেছে শৈশব-কৈশোরের দিনগুলো। আমি বাবা-মায়ের প্রথম সন্তান তো বটেই, দুইকুলেরও প্রথম নাতনি।তাই ছিলাম সকলের আদরের।তবে অতি আদরে মোটেও বাঁদর হইনি। দুষ্ট বা ডানপিটে ছিলাম না একদমা। ছিলাম উচ্ছ্বল, মিশুক, আর কিছুটা ভাবুক। খুব কৌতুহলী ছিলাম।সবটাতেই প্রশ্ন করে করে সবাইকে অস্থির করে তুলতাম। আমার
শৈশব ও কৈশোরের সাথী ছিল পদ্মার অন্যতম শাখা কুমার নদ ও আর দাদা বাড়ীর গ্রামের নান্দনিক পরিবেশ।
বাবা-মা দুজনেই চাকরি করতেন।তারা উদার ও সাংস্কৃতিমনা ছিলেন। প্রায়ই সন্ধ্যায় কলোনীর কোন একটি বাসায় সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা হত।আমার বাবা কবিতা লিখতেন।মাকেও দেখেছি গল্প লিখতে। তাঁরা দুজনেই আমাদেরকে সাংস্কৃতি চর্চায় উৎসাহ দিতেন।গান শিখাতেন, ছবি আঁকতে বলতেন।
হ্যালোটুডেঃ কখনও কি মনে হয়,শৈশব, কৈশোরের সোনালি দিনগুলি কেন হারিয়ে গেল! যদি ফিরে পেতাম? কোন মিরাকেলে সত্যিই যদি ফিরে পেতেন সেইসব দিনগুলি তাহলে কি হতেন কবি না অন্যকেউ, অন্যকিছু?
কবিঃ আমাদের যেদিন গেছে একেবারেই কি গেছে।না যায়নি, বর্তমানের মাঝেই সেইসব দিনগুলো ভীষণভাবে স্পষ্ট। তাই আমার কখনও আফসোস হয়নি। বরং আমার কাছে সবদিনই সুন্দর।যদি তাকে সঠিকভাবে ইতিবাচক মানসিকতায় যাপন করা যায়। হ্যাঁ যদি তেমন কোন মিরাকেল ঘটেই যায়। শৈশব-কৈশোরের দিনগুলো আবার ফিরে পাই তাহলে তাকে আগের চেয়ে আরও সুন্দরতর ভাবে উপভোগ করতাম। কি হতাম এটা তো সময়ই ঠিক করে দেয়। তবে আমার মনে হয় আমি কবি-ই হতাম। যদি দুটো অপশন থাকতো তাহলে কবি ও পরিব্রাজক হতাম। গোটা পৃথিবীটা ঘুরে ঘুরে দেখতাম আর লিখতাম।
হ্যালোটুডেঃ সাহিত্যের বীজতলা কি সেই ছোটবেলা থেকেই আপনার মধ্যে তৈরি হয়েছিল? কিভাবে এসেছিল প্রথম লেখাটি? সেই মুহূর্তের অনুভূতি কেমন ছিল?
কবিঃ হ্যাঁ, ছোটবেলা থেকেই লিখছি। প্রথম লেখা কোনটি ছিল এটি বোধকরি সকলের পক্ষেই বলা মুস্কিল। তবে আমার প্রথম কবিতা লেখার যে স্মৃতিটি সবচেয়ে উজ্জ্বল সেটি হল-
তখন ক্লাস ফোর-এ পড়ি।এক বৃষ্টি বিকেলে আব্বু বারান্দায় বসে বললেন, এসো বৃষ্টি দেখি।বৃষ্টি শেষে আমাকে নিয়ে কিছুক্ষণ ভেজা রাস্তায় হাঁটলেন। এটা সেটা দেখালেন। তারপর বাড়ি ফিরে বললেন, দুটো খাতা, দুটো কলম আনো। আমরা দুজনে কবিতা লিখি। দেখবো কার লেখা ভালো হয়। সেই যে বাবার প্রতিযোগী হয়ে লিখতে শুরু করেছিলাম। তারপর থেকে কলম চলছে।
হ্যালোটুডেঃ অনেকের মতে, আপনার লেখায় প্রকৃতি, নদী ও মানুষ প্রাধান্য পায়। এটা কতটা সত্যি? সত্যি হলে এর কারণ কি?
কবিঃ আমার স্বীকার করতে কোন দ্বিধা নেই যে, এটি শতভাগ সত্যি। শৈশবের সুন্দর স্মৃতি, উদার প্রাকৃতিক পরিবেশ, কুমার নদ, গ্রামের নানা পেশা ও ধর্মের মানুষ ও তাদের জীবনযাত্রা আমাকে প্রচণ্ডভাবে প্রভাবিত করেছে। তাই আমার লেখায় মানুষ ও প্রকৃতির কথা সুষ্পষ্ট। জীবনচলার পথে কত ঘটনার প্রবাহ দেখেছি।চাকরি জীবনের শুরুতে উন্নয়নকর্মী ছিলাম, সেই সুত্রেও মানুষের খুব কাছাকাছি যাবার তাদের জীবনবৈচিত্র্য জানার সুযোগ হয়েছে। তাই খুব সচেতনভাবে বা অবচেতনভাবে মানুষ ও জীবন আমার লেখায় স্পষ্ট।
হ্যালোটুডেঃ বাংলাদেশের কবি সাহিত্যিকদের অনেকেই এখন শিশু সাহিত্যের দিকে ঝুঁকেছেন। আপনিও এর ব্যতিক্রম নন। এটি কি সত্যি? যদি সত্যি হয়, তাহলে কেন?
কবিঃ অনেকাংশে সত্যি। কবি ও লেখকদের অনেকেই এখন শিশুসাহিত্য লিখছেন। এর পিছনের কারণ বা যুক্তি প্রত্যেকেরই আলাদা। আমিও লিখছি, তাই আমি আমার কারনটাই বলতে পারি। আজকের শিশুরাই আগামী দেশের কাণ্ডারি। তাদেরকে নৈতিক ও সময়োপযোগী যোগ্য শিক্ষা দেয়া আমাদের দায়িত্ব। সেই দায়িত্বের জায়গা থেকেই শিশুসাহিত্য লেখার তাগিদ অনুভব করছি।তাদের জন্য রূপকথার গল্প,ঈশপের গল্পের বাইরে শিশুদের উপযোগী করে এসময়কে ধারণ করে গল্প লিখছি। শিশুরা পছন্দ করছে। তাদের অভিভাবকেরা ব্যতিক্রম কিছু পাচ্ছে বলে তাদের কাছেও গ্রহনযোগ্য হচ্ছে। তাই লেখার আগ্রহ বাড়ছে।ব্যস, এইটুকুই।
হ্যালোটুডেঃ আপনি একাধারে কবিতা,গল্প ও শিশুসাহিত্য লিখছেন। এরমধ্যে কোনটিতে আপনি বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন? লিখতে গিয়ে বিষয়গুলোর মধ্যে পারস্পারিক কোন বিরোধ মোকাবেলা করেছেন কি?
কবিঃ জ্বী, আমি কবিতার পাশাপাশি কথাসাহিত্য, মননশীল প্রবন্ধ, ভ্রমন গদ্য ও শিশুসাহিত্যে লিখছি। এর প্রতিটিই শাখায় লিখতেই আমি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। তবে পাঠক ও সম্পদকদের চাহিদামত কবিতা বেশি লেখা হয়।গল্পের প্রতি মায়াটা বেশি।
এখন পর্যন্ত কোন বিরোধ বা সংঘাত মোকাবেলা করিনি।এক্ষেত্রে বলতে পারি,যখন যা লিখি তারজন্য মনকে তৈরী করে নেই। তাতে করে লেখাটিতে সম্পূর্ণভাবে মনযোগ দিতে পারি।তখন অন্য সবকিছু আড়ালে চলে যায়,কেবল ওই বিষয়টিই সামনে থাকে। সুতরাং বিরোধ বা সংঘর্ষের কোন সুযোগ থাকে না।
হ্যালোটুডেঃ অনেক সাহিত্য সমালোচক-ই মনে করেন, কবি, সাহিত্যিক ও যে-কোনও সৃষ্টিশীল মানুষের সৃষ্টির পেছনে প্রত্যক্ষ বা অপ্রত্যক্ষভাবে একজন নারী/পুরুষের প্রভাব থাকে। এই বিষয়ে আপনার অভিমত কি? আপনার দীর্ঘ সাহিত্য জীবনে এমন কোনও পুরুষ কি এসেছেন, যাঁর স্পষ্ট বা অস্পষ্ট প্রভাব আছে? তিনি কে?
কবিঃ এটি আপেক্ষিক। এমনটি হতে পারে আবার নাও হতে পারে।প্রত্যেকেই সহজাতভাবে লিখেন। সেক্ষেত্রে স্পষ্টভাবে কারও প্রভাব থাকার অবকাশ নেই। কিন্তু যদি কেউ কারও দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে বা বিশেষ কারও সাথে কোন ঘটনার প্রেক্ষিতে লিখতে শুরু করে এবং পরবর্তিতে লেখালেখি স্বভাবজাত করে ফেলে, তাহলে তার লেখায় ওই ব্যক্তির কিছুটা প্রভাব থাকতে পারে। তবে সবসময় একজনেরই প্রভাব থাকে এমনটা নাও হতে পারে। কারণ, সময়ের সাথে সাথে লেখার স্থান, কাল ও বিষয়বস্তু পরিবর্তণ হয়। সেই সাথে উৎস বা সুত্রও পরিবর্তণ হয়।
না, আমার লেখায় স্পষ্ট বা অস্পষ্ট কোনভাবেই কারও কোনরকম প্রভাব নেই। তবে যদি বলেন, আমার কবি বা লেখক হবার নেপথ্যে কে বা কারা আছে? তাহলে আমি দুজনের কথা বলবো। তাঁরা দুজনেই পুরুষও বটে। তাদের একজন আমার বাবা। যাঁর হাত ধরেই আমার লেখার হাতেখড়ি। অন্যজন আমার নানাভাই। তিনি আমার দেখা একজন অসাধারণ মানুষ।রোজ ডায়েরি লিখতেন, ইংরেজীতে। কী চমৎকার ছিল তাঁর হাতের লেখা। তিনি ছিলেন ফুল ও গাছপ্রেমী। যা পরবর্তিতে আমার মধ্যে সঞ্চারিত হয়েছে। এবং বলা যায় একারণেও আমার লেখায় প্রকৃতির প্রভাব স্পষ্ট।
হ্যালোটুডেঃ অনেকেই আক্ষেপ করেন, বাংলা কবিতার পাঠক প্রতিনিয়ত কমে যাচ্ছে। আমরা যদি বিগত দিনগুলির দিকে ফিরে দেখি তো দেখবো, অতীতেও কবি ও প্রকাশকদের মধ্যে এই একই উপলব্ধি কাজ করতো। এই বিষয়ে আপনার কি মনে হয়? যদি সত্যিই পাঠক কমতে থাকে তাহলে কেন? এই সংকট থেকে উত্তরণে কি করনীয়?
কবিঃ যারা প্রকৃতই পাঠক।তারা কখনও ঝরে যায় না। তবে নানান কারণে পাঠক কমেছে এটাও অস্বীকার করা যায় না।সময়ের সাথেসাথে অনেককিছুই বদলেছে।বইয়ের বদলে ই-বুক এসেছে। প্রিন্টেড পত্রিকার বদলে ওয়েবম্যাগ এসেছে। ফেসবুকের কল্যানে লেখা খুব সহজেই পাঠকের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। এতে করে এখন যেমন পড়ার সুযোগ বেড়েছে। তেমন কবির সংখ্যাও বেড়েছে। সবার লেখা যে মানসম্মত, পাঠকপ্রিয় এমন নয়।ফলাফল হিসেবে সবাইকে গড়পরতা বিবেচনায় এনে পাঠক যেমন পড়ার আগ্রহ হারাচ্ছে। তেমন করে পাঠকেরাও তো কবি হয়ে যাচ্ছে। এটির ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুটো দিকই আছে।
এই অবস্থার উন্নয়ন কবি ও পাঠক উভয়েরই হাতে।কবিকে মানসম্মত লেখা লিখতে হবে। আর পাঠকেরও উচিত হবে পড়ে ভালোটা খু্ঁজে বের করে পড়া।পাশাপাশি যারা সাহিত্য বাণিজ্যে ব্যস্ত তাদের বয়কট করা।
হ্যালোটুডেঃ এ যাবতকালে আপনার বইয়ের সংখ্যা কত? আগামী বইমেলায় আপনার কোন বই পাবো কি? যদি বিস্তারিত জানাতেন।
কবিঃ আমার বইয়ের সংখ্যা এখন পর্যন্ত এক ডজন।কবিতার তিনটি, গল্পের ৪টি, শিশুতোষ গল্পগ্রন্থ ৪টি এবং সম্পাদিত গল্পগ্রন্থ ১টি। আশা করছি,আগামী বইমেলায় ১টি কাব্যগ্রন্থ আসবে। এবং তারপরপরই আসবে ১টি গল্পগ্রন্থ। আর সব ঠিক থাকলে ২০২৪ এর বইমেলায় আসবে প্রথম উপন্যাস।
সাহিত্যে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ কোন পুরস্কার পেয়েছেন কি? পেয়ে থাকলে কি কি পুরুস্কার পেয়েছেন।যদি বলতেন?
কবিঃ আলহামদুলিল্লাহ্,বেশ কয়েকটি পুরস্কার পেয়েছি। সমতটের কাগজ পুরস্কার (২০১৯), বাংলাদেশ নারী লেখক সোসাইটির ভালোবাসার গল্প ইভেন্ট পুরস্কার (২০২০), ত্রৈমাসিক সাহিত্য দিগন্ত পুরস্কার (২০২১), পূর্ব-পশ্চিম সম্মাননা (২০২২) এবং এন বি আর প্রতিভা প্রকাশ লেখক সম্মাননা (২০২২)। তবে আমার সবচেয়ে বড় পুরুস্কার পাঠকদের ভালোবাসা।
হ্যালোটুডেঃ আপনার পাঠকদের উদ্দেশ্য কি বলতে চান? যদি বলি, যারা নতুন লিখছেন তেমন কবি লেখকদের কিছু পরামর্শ বা উপদেশ দেন। কি বলবেন তাদেরকে?
কবিঃ পাঠকদের একটি কথাই বলবো, ভালো লেখা পড়ুন। বই কিনুন। বাংলা সাহিত্যের সাথেই থাকুন ।
যারা নতুন লিখছেন তারা বোধসম্পন্ন এবং বুদ্ধিদীপ্ত। সুতরাং কোন উপদেশ নয়। তবে নিজের অভিজ্ঞতা থেকে পরামর্শ দিতে পারি।যেমনঃ লিখতে হলে জানতে হবে। জানতে হলে পড়তে হবে। তাই বেশি পড়ুন, বেশি বেশি লিখুন। সমাজ ও মানুষের প্রতি দায়িত্বের কথা স্মরণে রেখে লিখুন। বাংলাদেশ ও দেশের ইতিহাস ঐতিহ্যকে লেখার মাধ্যমে বিশ্বের কাছে প্রকাশ করুন।
Add Comment