হলিউড
হ্যালোডেস্ক
ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন। সেই বিয়ে ভেঙে গেল ১ বছর ৩ মাসের মাথায়। ২০১৬ সালে তারকা স্ত্রী অ্যাম্বার হার্ডের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে গেছে জনি ডেপ। মতবিরোধকে কারণ দেখিয়ে পাইরেটস অব ক্যারিবিয়ান তারকা জনি ডেপের কাছ থেকে বিবাহ বিচ্ছেদ চেয়ে আদালতের নিকট একটি আবেদন দাখিল করেন অ্যাম্বার।
এরপর থেকেই দুই তারকা কাঁদা ছোঁড়াছুঁড়িতে মেতে আছেন। দুজনের মন্দ সম্পর্ক গড়িয়েছে আদালতেও। সেখানেও মীমাংসায় যেতে পারছেন না তারা।
দিন কয়েক আগেই জনি দাবি করেন তার স্ত্রীকে তিনি অন্য পুরুষের সঙ্গে বিছানায় দেখে ফেলেন। সেই সূত্র ধরেই তাদের দাম্পত্য সম্পর্কে ফাটল ধরে। কিন্তু এই অভিযোগ অস্বীকার করে অ্যাম্বার বলেছেন, ‘কারো সঙ্গেই পরকীয়া করিনি আমি’।
মঙ্গলবার, ২১ জুলাই লন্ডনের আদালতে শুনানি হয়। সেখানে অ্যাম্বার বলেন, ৫৭ বছর বয়সী ‘পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান’ তারকা জনি ডেপ সংসারজীবনে একদমই কুৎসিত। কিছু হলেই তিনি গায়ে হাত তুলেন। বিভিন্ন সময়ে অন্তত ১৪ বার তার গায়ে হাত তোলেন এবং বহুবার প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেন।
তার বিরুদ্ধে প্রাক্তন স্বামী জনি পরকীয়ার যে অভিযোগ তুলেছেন তা মিথ্যে ও বানোয়াট গল্প। ৩৪ বয়সী ওই অভিনেত্রী বলেন, ৫৭ বছরের জনি ডেপের সঙ্গে দাম্পত্যজীবনে থাকাকালে আমেরিকান জায়ান্ট কোম্পানি টেসলার সিইও ইলন মাস্ক কিংবা অন্য কারও সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়াননি তিনি। এর কোনো প্রমাণ জনি দিতে পারবেন না।
এদিকে অ্যাম্বারের গায়ে হাত তোলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জনি। তার বক্তব্য, ‘এ সবই সাজানো নাটক। সে নিজেই আমার থেকে সরে যেতে চেয়েছে। তাকে মারধরের কোনো কারণ ছিলো না। সে পরপুরুষে আসক্ত।’
আদালতে অ্যাম্বার বলেন, জনি তাকে বেশ কিছু সহ-অভিনেতার সঙ্গে পরকীয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত করতেন। এগুলো তিনি করতেন ঈর্ষা থেকে। ক্রোধে-ক্ষোভে সহিংস হয়ে ওঠতেন। যা রীতিমতো অসহ্যের শেষ সীমায় পৌঁছেছিলো। বাধ্য হয়েই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
২০১৬ সালের মে মাসে নিজেদের পেন্টহাউসে রেগে গিয়ে অ্যাম্বারকে ফোন ছুঁড়ে মেরে চোখ ও গাল জখম করেন জনি। পরে আরও মারধর করেন। এ অভিযোগ যে দিনের, সেদিন নাকি অ্যাম্বার ইলন মাস্কের সঙ্গে টেক্সট-মেসেজ আদান-প্রদান করেন অ্যাম্বার। জনির এ অভিযোগের জবাবে অ্যাম্বার বলেন, ‘না। এসব কিছুই ঘটেনি যা বলা হচ্ছে। কারো সঙ্গেই সম্পর্কে ছিলাম না আমি। ২০১৬ সালের আগে টেলসা প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না আমার। জনির সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তাকে চিনেছি আমি।’
এদিকে আদালতে জমা দেওয়া সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, যেখানে এই দম্পতি বাস করতেন সেই পেন্টহাউসে সেদিনের ঠিক পরদিন অভিনেতা জেমস ফ্যাঙ্কোর সঙ্গে কথা বলছেন অ্যাম্বার। এ প্রসঙ্গে আদালতের প্রশ্নের জবাবে অ্যাম্বার বলেন, ‘ফ্র্যাঙ্কো আমাকে শুধু বলেছিল, ‘হায়, হায়, এ কী হাল হয়েছে তোমার?’
মামলার বিচারক অ্যান্ড্রি নিকোল এ দিন জনির আইনজীবী ইলেনর ল’কে বলেন, ঈর্ষার এ রকম প্রমাণের ওপর নির্ভর করে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো আদালতের পক্ষে সম্ভব হবে না।
আদালতকে ল বলেন, ওই পেন্টাহাউসের অনেক স্টাফ ও ওই দম্পতির কিছু বন্ধু-বান্ধবও সাক্ষী হিসেবে রয়েছেন। যারা নাকি ওই ঘটনার পর অ্যাম্বারের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন দেখেনি। সে থেকে বোঝা যায় তিনি জনির বিরুদ্ধে মারধরের মিথ্যে অভিযোগ তুলেছেন।
তার প্রতিবাদ করে অ্যাম্বার বলেন, অভিযোগ মিথ্যে নয়। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট ছিল। তিনি চারদিনের মধ্যে আদালতে সে প্রমাণ দাখিল করবেন বলেও জানান। তার এ কথার প্রেক্ষিতে আদালতের কার্যক্রম আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
Add Comment