সাকিল আহমেদ’র ফেসবুক ওয়াল থেকে
ছোটবেলায় মা থানকুনি পাতা বেটে খাওয়াতেন। যাতে আমাশয় না হয়। তাই মশাই মশাই করি না। বাড়িতে টবে টবে অ্যালোভেরা চাষ হত। সরবত খেতাম। মুখে মাখতাম। চুলে মাখতাম। তাই মাথায় টাক পড়েনি। মুখে তাই লেগে থাকে এক ছিলিম হাসি।
আমরা যারা গাঁজা খোর নই, ছিলিম শব্দে আপত্তি আপাদমস্তক। তবু শব্দ তো। শব্দ ব্রম্ভ তো।
অ্যালোভেরা এক নম্বর মহত ঔষধী। খেলে লিভার, কিডনি ভালো থাকে। মানুষ বীর্যবান হয়। সময় সুযোগ পেলে এখনো খাই।
আমার ইংরেজির শিক্ষক ভারত সেবাশ্রম সংঘের রাধাকৃষ্ণ প্রধান স্যার শিখিয়ে ছিলেন ধৈর্য কী ভাবে ধারণ করতে হবে। শুনে পালন করেছি তাঁর আপ্ত্য বাক্য। ফল পেয়েছি হাতে নাতে। তাই সব কাজে আমার একটু ধৈর্য বেশী।
মা মাসে অন্তত একবার কালমেঘ পাতা বেটে শুকিয়ে বড়ি বানিয়ে খাওয়াতেন যাতে তার ছেলের পেটে কৃমি না হয়। এ গুলো ছিল মায়ের অন্তর্দৃষ্টি।
তাই এখন রাত জাগলে পেটে আমাশা নেই। কালমেঘ তেতো খেতে খেতে এখন তেতো স্বাদ মুখে। ভাল না লাগলেও তেতো কথা বলতে পিছপা হই না। পেটে কবে গ্যাস অম্বল বদ হজম কিংবা ডাইরিয়া হয়েছিল মনে পড়ছে না।
পেশায় সাংবাদিক তাই বস্তু নিষ্ঠ সাংবাদিকতা ও কথাবার্তা একটু বাস্তব ঘেঁষা। ছয়কে নয় বলতে শিখিনি। নয় কে হয় বলতে শিখিনি।
আজগুবি বিষয় নিয়ে না কবিতা না সাংবাদিকতা করেছি। যা বাস্তব তাই লিখেছি কবিতায়, গদ্যে, পদ্যে, ছন্দে কিংবা সংবাদপত্রে।
কত মানুষের মুখের উপর কুকথা বলে দিই। সত্যি যা তা আড়াল করিনা। ফলে করিনা, জরিনা, সেরিনা সখীরা জীবনে আসে আর চলে যায়। প্রেম করে উঠতে পারি না। এখনো না ,তখনো না। তবে বেশ আছি। ফুলের উপর যেমন থাকে সদা প্রাণবন্ত মৌমাছি।
বিচিত্র বীযের দেশ এই ভারতবর্ষ কী ভাবে যে ইন্ডিয়া হয়ে গেল।
বীর্যবান মানুষের সংখ্যা দিন দিন কমছে।
সত্য চেপেছে সোনার পাল্লায়।
অনেক টাকা ভরি সত্যি কথায়। এটাই সত্যি।
Add Comment