সাময়িকী: শুক্র ও শনিবার
এক:
“তুমি বুঝলে না”
মেঘহীন আকাশ থেকে
বৃষ্টি ঝরে নীরবে
নাড়া দিয়ে মধুর যন্ত্রণা
বুঝেছে আকাশ, তবু তুমি বুঝলে না।
চলেছি জীবনের অন্ধকার পথে
জোনাকীরাও জেগে সঙ্গ দেয়
নির্ঘুম রাতে শুধু তোমাকেই ভাবনা
বুঝেছে জোনাকীরা, তবু তুমি বুঝলে না।
দু’কূল ভেঙেছ ছলনার আঘাতে
স্বপ্ন নিয়ে খেলেছ সাপলুডু
স্মৃতিরাও খোঁজে দু’জনের স্পর্শ
সফেদ দেয়ালে আঁকা সেই আল্পনা
বুঝেছে স্মৃতিরা, তবু তুমি বুঝলে না।
দুই:
“কষ্টের চাষাবাদ”
মেঘের বুকে মেঘের গর্জন
বৃষ্টিতে মিশে যায়,
মনের কান্না মনের ভেতরে
কেউ দেখতে না পায়।
স্বপ্ন নিখোঁজ আঁধার পাড়ে
জানি না নিজের অপরাধ,
তাই মন জমিনে করেছি
এখন কষ্টের চাষাবাদ।
যে আলোর যাত্রী তুমি
আঁকড়ে ধর তাকে,
স্বপ্নগুলো জেগে উঠুক আবার
সেই আলোর ডাকে।
তিন:
“বাঁধন ছিঁড়ে যায়”
সেদিন বিকেলে কত মায়াভরা কণ্ঠে
আমাকে আপন করে নিলে
স্বপ্নের ভেতরে নতুন করে স্বপ্ন দেখালে
ক্ষত চিহ্ন মুছে ফুলের সৌরভে
নতুন করে পথচলার প্রয়াস জোগালে
জীবনের আকাশে মেঘ নিল বিদায়
নীলিমায় খোঁজে মন আপনকে
হƒদয়ের জমিনে ফোটে শরতের কাশফুল
আলতো ছোঁয়ায় বিষাদ কেটেছে
কষ্টের চাদর মোড়ানো স্বপ্ন জীবন থেকে
ঘুণে ধরা মন জেগেছে নব উদ্যমে
মধ্যরাতে কেঁপে ওঠে বুক
তছনছ করে দেয় জমানো সব সুখ
বেহালার করুণ সুরে ছিঁড়ে যায় বাঁধন
অন্ধকারে ডুবে গেল সাজানো ভুবন।
Add Comment