সাময়িকী: শুক্র ও শনিবার
“বিষাদ বিকেলে”
আমাদের আলাপে ধুলোর আস্তরণ পড়ছে ক্রমশ
প্রিয়জন-সাহ্নিধ্যে নিদারুণ ফুঁড়ছে আতঙ্কের কাঁটা
আমাদের কাঙ্ক্ষিত বিকেল ব্যর্থতার গোধূলিমাখা
ছুঁয়ে থাকা নিঃশ্বাসে মিশে গেছে অবিশ্বাসী গন্ধ
মেঘে ঢেকে যেতে যেতে নিগূঢ় আঁধার শেষে-
আমরা কি সূর্যালোকে উম্মোচিত হবো না !!
“রাত শেষে”
গত রাত্রের স্বপ্ন
হাত ধরে হাঁটছে কেউ, পাশাপাশি হাঁটছি
দূর দিগন্তে কোথায় সে পথ শেষ দেখা যাচ্ছেনা
দীর্ঘরাত দীর্ঘ হয়ে ওঠে আরও
রাত যেমন অন্ধকারে মেশে ওতোপ্রতোভাবে
আমি স্বপ্ন জড়াই অমন করে
স্বপ্নে আছে কল্পিত মুখছায়া
আছে মুখোশ আঁটা দীর্ঘশ্বাস
অমীমাংসিত ক্ষোভ
অথচ আমি তাতে বুনি
দুঃসময় সেরে ওঠার প্রতীক্ষা
নক্ষত্রের বিশ্বাসে যদি একবার বলে ওঠো
পৃথিবীর পরিপূর্ণ অন্ধকারেও চিনে নেবে
স্বপ্নাহত এই চোখ
কথা দিচ্ছি বিনিদ্র আঁধারে
শস্যদানার মতো ছড়িয়ে দেবো মানবিক স্বপ্ন
স্বপ্নে ভেতর-বাহির-সুদূর জ্বলে জ্বলজ্বল
“আঁধারে”
জীবনের অসুখ করেছে খুব
যাপনের সব অন্ধকার দিব্য চরে বেড়ায়
দিনের আলোর স্রোতে
পাড় ভেঙে ভেঙে নদী বেড়ে যাবার মতো
বাড়ছে একাকিত্বের সীমা
জানালার কাছে এসে থমকে দাঁড়ায়-
কলরবহীন বিবর্ণ সকাল
পৃথিবীর গলায় ঝুলছে যেন মৃত্যু-মোড়া হার
অতীতের গ্রাম ছাড়ার ভীতি এখন খাঁচাবন্দি স্বপ্নহীনতার খাঁচা, অনিশ্চয়তার খাঁচা
এখানে উৎসব নেই, হৃদয়ের লাবন্য নেই,
শ্বাসনেবার বাতাসটুকু নেই
গাঢ় এক নীরবতা
অথচ আজ আর একা ঘরে আঁধারকে ভয় নেই
নিচ্ছিদ্র অন্ধকারের কাছে আহত হলে
দৈর্ঘ্য-প্রস্থে বেড়ে যায় নক্ষত্র দেখার অধিকার
Add Comment