সাময়িকী: শুক্র ও শনিবার
―মিলন মাহমুদ রবি
‘স্নিগ্ধ’কে ছেলেটি প্রথম দেখেছিল কফি হাউজে। বেলা গড়িয়ে প্রায় দুপুর তখন, কফি অর্ডার দিয়ে অপেক্ষা করছে ছেলেটি। হঠাৎ তার সামনের কয়েকটা টেবিল পরেই মেয়েটি বসা। নীল কালার একটা শাড়ি প্যাঁচানো শরীরে, ঠোঁটে হালকা লিপিস্টিক। ম্যাচিংতো বটেই। এক দেখাতেই হারিয়ে গেলো ছেলেটি!
যদিও শাড়ি নারীদের ভিন্ন এক রুপে নিয়ে যায়। বাঙালি নারীর কাছে শাড়ি তাঁর সারা শরীর জড়িয়ে রাখা এক কাপড়ের একটা দীর্ঘ স্বপ্নখচিত জড়োয়া গয়না। যুগে যুগে এই পোশাককে বিচিত্র শব্দে–বর্ণে মহিমান্বিত করেছেন লেখক–সাহিত্যিকেরা। শাড়ি পৃথিবীর সবচেয়ে যৌনাবেদনপূর্ণ অথচ শালীন পোশাক। শুধু শালীন নয়, রুচিসম্পন্ন, সুস্মিত ও কারুকার্যময় পোশাক। ভরদুপুরে শাড়ি পরা এমন এক নারীকে দেখে ছেলেটিও কম যাইনি। সামনে কফি চলে আসলো, স্যার আর কিছু? বললো না, ঠিক আছে। মেয়েটিও কারো অপেক্ষায়, ঘড়ি দেখছে বারবার, ছেলেটির চোখে মেয়েটির কয়েকবার চোখ পড়েছিলো।
কিছুক্ষণ পরেই মেয়েটির কয়েকজন বন্ধু এলো। ওদের আলাপচারিতার মাঝে বন্ধুরা ‘স্নিগ্ধ’ বলে ডাকতেই ছেলেটি নাম জেনে গেলো। মেয়েটি খুব ছোট ছোট শব্দে কথা বলছে, তাঁর মধু মাখা কণ্ঠ ছেলেটির কানে ভেসে আসছে। বাহ্ সে কি মিষ্টি কণ্ঠ! যদিও কয়েকবার চোখে চোখ পড়েছে। কিছুক্ষণের একটা ভালোলাগা ছিলো। হয়তো বা মেয়েটিরও…! হঠাৎ হঠাৎ কিছু ভালোলাগা সামনে এসে দাঁড়ায়। জুটে যায় অনাকাঙ্খিত অনেক কিছু। আটকা পরে যায় মনের কাছে। তখন ডুবে থাকতে কার না মন চায়। আসলে প্রেম কী কখনও দিনক্ষণ দেখে আসে? কখনও কী এসেছে? সে তার রুপেই আসে যখন-তখন। কেউ ধরা খায়, আবার কেউ দেয়! বৈচিত্রময়।
Add Comment