হ্যালোডেস্ক
আধুনিকতার ছোঁয়া আর অত্যাধুনিক যুগের সাথে তাল মিলাতে গিয়ে হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের গ্রাম-বাংলার অনেক ঐতিহ্য। যা সময়ের বিবর্তনে থাকবে ইতিহাস হয়ে। গ্রাম- বাংলার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যের কুড়িয়ে পাওয়া কিছু ছবি।
কৃষকের কাজের ফাঁকে এ্রভাবেই রোদ দুপুরে তাদের জন্য খাবার নিয়ে যেতেন। বর্তমান প্রজন্মের কাছে এসব যেন অবাক হওয়ার মতো।
ফসল ওঠার পর এভাবেই চুলায় ধান সিদ্ধ করা হতো!
চুলায় ভাজা মুড়ি। আসলেই সেই সাধ চুলায় ভাজা মুড়িতে। এখন বাজারে এ মুড়ি পাওয়া যায় না বললেই চলে। যাও পাও যায় মেশিনে ভাজা মুড়ি। খেতে তেমন সাধ পাওয়া যায় না।
অগ্রাহায়ন মাসে শীতের আগমনী বার্তা নিয়ে এলেই গাছিরা গাছ ঝুড়তে ব্যস্ত হয়ে পড়তো। বর্তমানে গেজুর গাছ হারিয়ে যেতে বসেছে প্রায়!
পাটের ফলন ঘরে তোলার পর গৃহস্থলীরা জ্বালানীর জন্য এভাবেই রাস্তা বা মাটির রাস্তার পাশে শুকাতে দিতো। এমন দৃশ্য গ্রামগঞ্জেই আর দেখা মেলে না।
চোখ জুড়িয়ে যাওয়ার মতো ছবি। চাষীদের মুখের হাসি। ধান শুকাতে নারী-পুরুষ মিলে এমন দৃশ্য গ্রামের মেঠো পথে দেখা মিলতো। হারিয়ে যেতে বসেছে এমন চোখ জুরানো দৃশ্য।
কলা গাছের ভেলা দিয়ে গ্রামের বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ছোট খাল বা নদী পার হতো গ্রামের শিশুরা। ওদের ছেলে বেলার খেলার একটা অংশ হিসেবে থাকতো এমন ভেলা।
হাতে তৈরী করা সেচ দেওয়া ডোঙ্গা। জমিতে পানি দেওয়া হতো এমন ডোঙ্গা দিয়ে। আধুনিকতার যুগে এখন মটর দিয়ে জমিতে পানি সেচ দেওয়া হয়। এমন দৃশ্য এখন আর তেমন দেখা মেলে না গ্রাম-বাংলায়।
কবিদের ভাষায় পাঠ্যবইয়ে পড়েছি চড়ুইভাতির কথা। আবার তার নামই বনভোজন, আজকাল যার নাম পিকনিক। দুপুরে বাগানের গাছের ছায়ায় নিচে নির্ঘুম দুপুরে গ্রামের শিশু-কিশোররা মিলে পাশের ক্ষেত থেকে নানান রকম সবজি তুলে এবং মায়েদের হিসেবী সংসারের চাল, ডাল একটুখানি তেল-মসলা সংগ্রহ করে ইট দিয়ে চুলা বানিয়ে উৎযাপিত হতো এ মহতী কার্যক্রম। কেন রকম অর্ধসিদ্ধ সেই অমৃত কলার পাতায় খেতে খেতে এদের আনন্দময় মুখগুলো ফেলে আসা দিনের কথা মনে পড়িয়ে দেয়।
গ্রামের মেঠো পথে ভরদুপুরে গলা ছেড়ে হাক দিতো দেখবোনি বায়োস্কোপ। ডিজিটাল প্রযুক্তি ও আকাশ পথ খোলা কারণে এমন ঐতিহ্য আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। সেই সময়ে গ্রামের শিশু-কিশোরদের জন্য এটাই ছিলো বিনোদনের বড় মাধ্যম। ধান অথবা চাউলের বিনিময়ে খেলা দেখাতেন বায়োস্কোপ ওয়ালারা। এসবই থাকবে ইতিহাসের একটি অংশ হিসেবে বর্তমান প্রজন্মের কাছে।
বাঁশের তৈরি এ শিল্পের সাথে এখন অনেকেই পরিচিত নন। গ্রামের বাজারগুলোতে দেখা মিলতো এসব পণ্যের। বাঁশ, বেতের তৈরি এসব পণ্যের ভিতরে ধান, চাল, হাস-মুরগীসহ গৃহস্থলিরা নানান রকম প্রয়োজন মিটাতেন। এখন এসব শিল্পের দেখা পাওয়া যায় না বললেই চলে।
Add Comment