ঋতু ভেদে চুলের সাজ
হ্যালোডেস্ক
গরম আর বর্ষা এখনো পুরোপুরি বিদায় নেয়নি। এরই মধ্যে মাঝে মাঝে ঠাণ্ডা জেঁকে বসে শেষ রাতে। এই সময়ের চোরা ঠাণ্ডার সঙ্গে মিশ্র আবহাওয়া বিরাজ করছে গোটা দেশে। সব মিলিয়ে মৌসুমটি আরামের হলেও ত্বক ও চুলের জন্য বেজায় ক্ষতিকর। চুলের যত্নে এই প্যাক, সেই প্যাক আরও কত কী ব্যবহার করছেন! নিয়মিত পরিচর্যা ছাড়া এসব হেয়ার ট্রিটমেন্ট কোনো কাজেই আসবে না। রুক্ষ, তেল তেলে স্বভাব সব মিলিয়ে স্ক্যাল্প এবং চুলের বারোটা বাজা আটকায় কার সাধ্য! উপায় একটাই। সঠিক যত্ন এবং সাবধানতা।
শ্যাম্পু করুন সপ্তাহে তিন দিন :
এ সময়ে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকে। আর এতে মাথার ত্বক ঘামে, ফলে ব্যাকটেরিয়ার সৃষ্টি হয়। যা চুল ও মাথার ত্বকের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এজন্য অনেকেই প্রতিদিন চুলে শ্যাম্পু ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু প্রতিদিন শ্যাম্পু করার ফলে মাথার ত্বকের প্রাকৃতিক তেলও ধুয়ে যায়। এই তেল চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তাই প্রতিদিন নয়, সপ্তাহে চুল পরিষ্কার করার জন্য তিন দিন শ্যাম্পুই যথেষ্ট।
স্ক্যাল্পের চাই বিশেষ যত্ন :
চুলে শ্যাম্পু তো করাই হয়, কিন্তু অনেকেই এ সময় ভালোভাবে মাথার ত্বক পরিষ্কার করার বিষয়টি ভুলে যান। চুলের সমস্যার শুরু হয় মাথার ত্বক থেকেই। তাই মাথার ত্বক অর্থাৎ স্ক্যাল্পে পরিষ্কার রাখা খুবই জরুরি। সপ্তাহে অন্তত এক দিন চুলে শ্যাম্পু করার সময় স্ক্যাল্প বা মাথার ত্বক ভালোভাবে ম্যাসাজ করে ধুয়ে নিতে ভুলবেন না।
কন্ডিশনার ব্যবহার :
চুলে শ্যাম্পু করার পর অবশ্যই কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত। তা না হলে মৌসুমি আর্দ্রতায় ত্বক ও চুল শুষ্ক হয়ে যেতে বাধ্য। তাই শ্যাম্পু ব্যবহারের পর কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। কন্ডিশনার বাহ্যিক দূষণ থেকেও চুলকে বাঁচাতে সাহায্য করে।
চুল মুছতে ভুল করা না :
ভেজা চুল তোয়ালে দিয়ে পেঁচিয়ে রাখার অভ্যাস প্রায় সব মেয়েরই রয়েছে। তবে এই মৌসুমে এমনটি না করাই ভালো। কেননা, ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাসে সংক্রমণ হতে পারে। তাই ভেজা চুল তোয়ালে দিয়ে পেঁচিয়ে না রেখে ভালোভাবে মুছে বাতাসে শুকিয়ে নিতে হবে।
ভেজা চুল বাঁধবেন না :
একইভাবে ভেজা চুল কখনই বেঁধে রাখবেন না। এতে খুব টাইট করে বা ভিজে চুল বেঁধে রাখলে চুলের গোড়া আলগা হয়ে চুল পড়া, খুশকি ও চুলে গন্ধ হওয়ার মতো ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তেল কত দিন পরপর :
প্রতিদিন চুলে তেল দেওয়াটা জরুরি নয়। তবে চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ও ঝলমলে রাখার জন্য সপ্তাহে অন্তত এক দিন চুলের গোড়ায় এবং পুরো চুলে তেল লাগাতেই হবে। চুল শুষ্ক ও ভঙ্গুর হলে দুই দিন পরপর তেল ম্যাসাজ করা ভালো।
এই মৌসুমে ত্বকের বাড়তি যত্ন নেওয়া জরুরি। ঘরোয়া উপায়ে ত্বক ও চুলের যত্ন নেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ। এ ধরনের কিছু সাধারণ বিষয় খেয়াল রাখলেই আপনার চুল থাকবে সারা বছর পরিষ্কার ও ঝলমলে। তো টিপসগুলো শুরু করুন আজই।
Add Comment