বুড়িগঙ্গা নদী একটি প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী পরিচিত নাম। এটি উওর-কেন্দ্রীক অঞ্চলের একটি নদী।
রাজধানী ঢাকা শহরের পাশ দিয়ে প্রবাহিত নদীটির দৈর্ঘ্য ২৯ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৩০২ মিটার এবং প্রায় ৪০০ বছর আগে এই নদীর তীরেই গড়ে উঠেছিল ঢাকার শহর। জানা যায় যে, প্রাচীনকাল থেকেই স্থলযানের চেয়ে জলযানে যাতায়াত ও ব্যবসা বাণিজ্যের প্রভাব ছিল বেশি।
তেমনি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহর গড়ে উঠেছিল বুড়িগঙ্গা নদীকে কেন্দ্র করেই। যেটি বাংলার স্বাধীন সুলতানী বংশ ও মুঘল বংশ বুড়িগঙ্গাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল তাদের শাসনকার্য পরিচালনা। এরপরেই বুড়ীগঙ্গার তীরে ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে ঢাকা শহর যা ১৬০০ সালে সুবেদার ইসলাম খান চিশতি প্রথমবারের মত ঢাকা রাজধানী হওয়ার মর্যাদা লাভ করে কেবল বুড়িগঙ্গা নদীকে কেন্দ্র করেই। আজও বুড়ীগঙ্গা নদী প্রবাহিত!
দু’পারে গড়ে উঠেছে হাজারো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বসবাসের দালান কোঠা, চলছে বুড়ীগঙ্গার বুক চিরে… তাই-তো এই বুড়িগঙ্গা নদীকে ঢাকা শহরের জননী বলা যেতে পারে, কারণ এই বিশাল জনপদ ঢাকা শহর বুড়িগঙ্গাকে ঘিরেই বসবাস, চলাচল কিন্তু যুগের পর যুগ এই বহু জনগনের স্বদাচারণ ও অস্বাদুচারণ সহ্য করে সন্তানের মত তাঁর বুকেই আগলে রেখেছেন। অশেষ সেলাম এই বুড়িগঙ্গা মা’কে। দিবা-রাএী ব্যস্ত জনপদে ঘুম নাই রে সেথা বিশ্রাম কি নিতে পারে আমাদের বুড়ি ‘মা’?
আজ আর নেই বুড়িগঙ্গার সেই যৌবন। এখন শুধুই ইতিহাস। অবৈধ স্থাপনা, দখল আর কলকারখানার দূষণে বিপন্ন প্রায় ঢাকার জন্মদাত্রী নদী ‘বুড়িগঙ্গা’।
লিখেছেন: নুর এ আলম
Add Comment