হ্যালোডেস্ক
০৯ জুলাই ২০২২
টানা চার বছর ধরে একই ইউনিটে কাজ করছিলেন শর্মিলী আহমেদ আর রুনা খান। মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের নির্মাণে জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস’ শেষে এখন চলছে দুজনের ‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস রিলোডেড’।
তাই সকালে ঘুম ভেঙেই সহশিল্পী শর্মিলী আহমেদের মৃত্যুর খবরটা জীবনের অন্যতম ধাক্কা হিসেবে গায়ে লাগলো রুনা খানের। বললেন, ‘একজন করে কাছের মানুষ চলে যায়, আর আমার আরও তীব্রভাবে মনে হতে থাকে, জীবন এত ছোট..!’
বলেন, ‘গত চার বছরে যে মমতা আর দরদ তিনি দেখিয়েছেন আমার প্রতি, তা লিখে-বলে-বুঝিয়ে ব্যাখ্যা করবার সাধ্য আমার নেই। আজ শুধু এটুকুই মনে হয়, এই ছোট্ট জীবনে মানুষকে ভালোবাসা দেওয়া আর পাওয়া ছাড়া কোনও কিছুই তেমন অর্থ বহন করে না। সেই বিবেচনায় একটা শতভাগ অর্থপূর্ণ জীবনযাপন করে গেছেন শর্মিলী আন্টি।’
স্মৃতিকাতর রুনা বলেন, ‘তার উপহার দেওয়া শাড়িতে আমার আলমারি ভরা। তার এই ভালোবাসা আমি আমৃত্যু বয়ে বেড়াবো।’
জ্যেষ্ঠ অভিনেত্রী শর্মিলী আহমেদ শুক্রবার (৮ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ উত্তরায় নিজ বাসায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
অভিনেতা-নির্মাতা শাহেদ আলী জানান, এই অভিনেত্রী দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন। চলছিল কেমো। সম্প্রতি সর্বশেষ কেমো দেওয়া হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হলো না।
মৃত্যুর খবরটি পেয়ে ফেসবুক পরিণত হচ্ছে শোকবই-এ। শোক প্রকাশ করছেন সর্বস্তরের শিল্পী-নির্মাতারা।
শর্মিলী আহমেদের ১৯৪৭ সালের ৮ মে মুর্শিদাবাদের বেলুরচাক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রাজশাহী পিএন গার্লস হাই স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পরীক্ষা পাস করেন। অভিনয়কে পেশা হিসেবে শুরু করেন ১৯৬৪ সালে। তারও আগে ১৯৬২ সালে রেডিওতে এবং ১৯৬৪ সালে চলচ্চিত্রে তার ক্যারিয়ার শুরু করেন। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রথম ধারাবাহিক নাটক ‘দম্পতি’তে কাজ করেছেন।
১৯৭৬ সালে মোহাম্মদ মহসিন পরিচালিত ‘আগুন’ নাটকে প্রথমবারের মতো মায়ের ভূমিকা পালন করেছিলেন। মূলত এরপর থেকে নাটক ও সিনেমায় শর্মিলী আহমেদ হয়ে ওঠেন তারকাদের অলিখিত মা। শর্মিলী আহমদের তানিমা নামের একজন মেয়ে আছেন। তার ছোট বোন আরেক নিয়মিত অভিনেত্রী ওয়াহিদা মল্লিক জলি।
Add Comment