বিশেষ সংখ্যা ২০২৪
০১ জানুয়ারি ২০২৪
-দুঃখানন্দ মণ্ডল
দেবীপক্ষ ১
তুমি দেবী
চণ্ডীপাঠ তোমার জন্য। আমি শ্রোতা।
তুমি দেবী
মন্ত্র উচ্চারণ। স্পর্শ করে অদৃশ্য শক্তি।
তুমি দেবী
তুলসী দূর্বা ফুল বেলপাতা। পবিত্রতার প্রতিমূর্তি।
তুমি দেবী
জ্বলন্ত প্রদীপ। আমার হাতে সলতে কাঠি।
তুমি দেবী
মায়ের আঁচল। আগলে রাখে স্বপ্নগুলোকে।
দেবীপক্ষ ২
তুমি দেবী, তোমার পাশে বসি।
তুমি নারী, তোমাকে শ্রদ্ধা করি তোমার অজানতে।
তুমি প্রশ্ন করেছিলে ঐশ্বরিক শক্তি নিয়ে,
উত্তরে বলেছিলাম তুমি নারী, তুমি দেবী।
প্রদীপ জ্বলছে। উচ্চারিত হচ্ছে মন্ত্র
তোমার মন্ত্র। বিশ্লেষণের পর রয়ে যায় অনুচ্ছেদ।
তুমি নারী। ক্ষমতা তোমার হাতের নাগালে;
শ্রদ্ধাশীলতা। তুমি এখনো আটপৌরেই থেকে গেছো।
তুমি নারী : তুমি দেবী
আসলে তোমারই পুজো হয় দেবী রূপে…
দেবীপক্ষ ৩
অভিমান আছে বলেই এ সম্পর্ক
অভিমান আছে বলেই চলে যাওয়া
সম্পর্কের টানে ফিরে আসা
সম্পর্কের জন্যই ফিরে দেখা অতীত
অতীতকে বেঁধে রেখেছে জীবনযাপন
অদৃশ্য নির্মাণ বেঁধে চলে বন্ধনসেতু
বহমান গতির কাছে আটকে আছে সময়
অভিমানী সুর আলোকধারায় অন্তত পথ খুঁজে
স্থির বিন্দু আবহমান গতিকে ধরতে চায়
একটা সময়, একটা কাল সম্পর্ককে ফেকাসে করে তুলে
দেবীপক্ষ ৪
চক্ষুদানের পর তোমাকে প্রথম চেনা
পুরোহিত গুটিয়ে নিচ্ছে চক্ষুদানের নামাবলী
তুমি যতই আছাড় হও তোমার দিকেই চোখ থাকে অপলক।
পূজোর বেদীতে নৈবেদ্য সাজিয়ে নিচ্ছে পূজারীনি
মেয়েটি এখন আর অপেক্ষা করে না চণ্ডী শোনার জন্য
একটা তাড়না, একটা চঞ্চলতা। ধুনাচুরে গনগনে উত্তাপ…
বিসর্জন হবে এক সময়। চুক্ষদানের পর্ব তুমি ভুলেছো
তোমার কাছে এখন আর এক হাতছানি… তুমি জানো তা
দূরত্বরেখা ক্রমান্বয়ে স্ফীত হচ্ছে স্থির বিন্দুর কাছে!
বরণডালায় গচ্ছিত রইল চক্ষুদানের নামাবলী…
Add Comment