সাময়িকী: শুক্র ও শনিবার
-শিপন শাহরিয়ার
আমি দাঁড়িয়ে যে প্রাসাদসম দর দালানের বাইরে
সে দালানের গেইট ইস্তি কখনো আমার ঢোকার
সৌভাগ্য হয়, কোন নিমন্ত্রণে আপ্যায়িত হতে নয়,
নয় কোন অশীতিপর বৃদ্ধের প্রতি কারো মানবতা;
আমার মাথায় যে সিলভার এর হাড়ি পাতিল দেখেন,
সেটার মাঝে বরফ দিয়ে আমি মাছ ফেরী করি।
তো সেই মাছ; বাজারের বড় আড়ত কিংবা দোকানির
ডেকোরেটেড ডিসপ্লে করা মাছের চেয়ে দাম কম।
কারন আমার কিছু বাড়তি খরচ কম,তাই দামে সস্তা।
এরকম দালানের বেগম সাহেবা রা ডাকে তাই কদাচিৎ
নানা ভাবে, নানা কায়দায় উলটে পালটে পরখ করে;
দাম কমানোর সব কৌশল আওড়িয়ে, শেষে বেছে নেয়
আমার ভান্ডে থাকা সেরা ক’খানা;যেটা আমার স্যাম্পল
মা’না সত্বেও ছিনিয়ে নিয়ে, পড়ে কেয়ারটেকারকে দিয়ে
দাম পাঠায়,তাদেরই মনমর্জি; তা ও কিছু বাকি রেখে।
এরকম অনেক দালানেই কিছু বাকি থেকে যায়..
একলা পেট, লস লোকসানে যায়, আসে না কিছু!!
শরীর দিনে দিনে চলে না আর,চোখে দেখি ঝাপসা!!
কারো কাছে কিছু বাকি রয়েছে, মনে পড়ে আবছা।
প্রায়ই গেটের নিকট হাঁক ছাড়ি সম্ভব জোরে, মাছ নিবে
কেউ আর ভিতর থেকে কোন আওয়াজ দেয় না;
ঘুরে ঘুরে ফিরে যাই- দালানের ভিতর যেন কেউ নাই।
অবশেষে একদিন জানি; এ বাড়ির আর কেউ নেই ;
এরা নাকি স্বপরিবারে বিলেত গিয়েছে, সে যে কবেই!!
দালানের বাইরে থেকে যায়না বোঝা, সবাই গিয়েছে চলে
আমি নিঃস্ব আমার ক’টা পাওনা টাকা, সেও গেল ভূলে?
এমন ভীষণ দর দালানের কাছে করুনা নিতে এসে দাঁড়াইনি কখনো ধরে গেট;
দীন ভিখেরীর কাছে ক’টা টাকার জন্য এদেরই বরং হয়ে থাক মাথা হেড!!
Add Comment