সাময়িকী: শুক্র ও শনিবার
-মারুফ শরীফ
আজকের মধ্যরাতটায় শিশু পাড়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছিলাম।
অজস্র স্মৃতির মনচোখ ভিজে গেছিল স্নেহ-আদর আর মায়ার কষ্ট বারিতে।
ভিজে গেছিলাম অজস্র রাশি ঝড়ো-বাতাস, মেঘ-বারি আর
মনের গভীরে চাক্ষস স্বৈরাচারী রক্তস্রোতে।
ঝড় উঠেছিল স্মৃতির, আজকের মধ্যরাত জুড়ে।
এলোমেলো হয়ে গেছিলাম শৈশব থেকে
কৈশোরের প্রান্ত অবধি জুড়ে।
আউলে দেয়া অদম্য স্মৃতির আওড়ানো কার্ণিশে
নিরঙ্কুশ দাঁড়িয়েছিলাম বেমালুম।
এখনো স্মৃতি তাড়ায়!
বেফাঁস দেখে নিলাম, টিনশেড বাড়ীর ছাদ থেকে
এক বেয়াড়া বানর আমাকে তাড়িয়েছিল।
কাঠের সিঁড়ি বেয়ে নেমে আমি ভয়কাতুরে
প্রানপণ নেমে এসে বাম পায়ের কণিষ্ঠা ঢুকিয়ে
দিয়েছি খোলা দরজার সরু চিপায়।
ওহ, আজো কী বেদনা স্মৃতিতে…!
ঝড়ো স্মৃতি মনে ধরিয়ে দেয় ঝাল মেজাজী আব্বার
ভাতঘুম বিরক্তির দাম দিয়েছিল কতক দুুর্বৃত্ত দস্যি ছেলের পিঠে জালি বেতের ঘা।
ওই দস্যি দল বেত্রাঘাতের বদলা নিয়েছিল।
নিশুতির শেষ প্রহরে পুরো বাড়ী জুড়ে
নোংরা বিস্টা ভরা মৃৎ পায়লার অকাতর বন্যায়।
আহা, ঝাল মেজাজী আব্বার নির্দয় শাসন…!
পলায়ন মনের চিৎ শোয়া বড় ভাইয়ের পা’য়ে
চেলী লাকড়ির মঞ্চে লম্ফ-ঝম্ফ ক্রোধের পুত্র-স্নেহ বিণাশী শাস্তির চলচ্চিত্র;
মন ভিজিয়ে দ্যায় আজো।
স্মৃতিও অতীতকালের তৎবর্তমানের মত সমান নিষ্ঠুর……!
গণতন্ত্রকামী ছাত্রদের ওপর স্বৈরাচরী লে. জে. হুমোএ’র খাকী বাহিনীর মৃত্যুদূতালী নির্যাতন….!
অশ্রু ভিজিয়ে দ্যায় স্মৃতির গতর।
সারি সারি হুমো খাকি বাহিনীর নিষ্ঠুর লড়ি।
মৃত্যুমুখো নির্যাতিতের ব্যকুল চিৎকার,
লে. জে. হুমোএ’র খাকী বাহিনীর হুঙ্কার,
বেশুমার ছুটন্ত বিদিক ভারী বাতাস।
স্মৃতি ভিজে যায় মনের অশ্রুতে।
শৈশব থেকে কৈশোর সমেত ঝড়ো গতিতে এসে
ভিড় করে আওলা মনের কার্ণিশে….!
Add Comment