সাময়িকী : শুক্র ও শনিবার
-মজিদ মাহমুদ
জন্মদিন যদিও, শহুরে সংস্কৃতির অংশ
তবু বিষণ্ণ হই, ভাবি, এই দিনই কি সেই দিন
যেদিন আমি জন্মেছিলাম!
বিহঙ্গ কি জানে, জানে কি প্রাণিকুল-
যাদের জীবাশ্ম ভরেছে পৃথিবীর ভাণ্ডার
সব জীবন বছর ঘোরে না
কারো জীবন পল ও দণ্ডে
আহ্নিক গতির ঋতুচক্র ঘটে প্রকৃতির নিয়মে
সময় কি ফিরে আসে নিজস্ব আলয়ে!
আমি শুধু সেই শিশুটির কথা ভাবি
এক নারী বাঁশ ও খড়ের চালার নিচে
জুবুথুবু বৈশাখী ঝড়ে প্রসব বেদনায়-
গোশালায় মা মরিয়ম যেন ছোট যিশু কোলে
কিছুক্ষণ আগে এক বৃদ্ধা বলল চিৎকার করে-
শুনছ তোমরা- ‘সানুর ছাওয়াল হয়েছে,
বিশ্বাসের ব্যাটা এবার দিতে পার আজান’
আজ সেই পোয়াতির মুখ মনে পড়ে
একটি ন্যাকড়ার ভেতরে মানুষের পুত্তলি নিয়ে
কিভাবে রাত্রি জেগেছিল ভয়াবহ শঙ্কায়
কার চোখে রেখেছিল চোখ তরুণী মাতা
আজ কোথাও নেই সেই মুখ
শিশুটিও মরে গেছে নিজের ভেতর
কেবল বীজের চিহ্ন লেগে আছে পল্লবে কাণ্ডে
বায়ু তুমি কি রেখেছ ধরে তার দুরন্ত পদচ্ছাপ
নদী তুমি কি লুকিয়ে ফেলেছ সন্তরণের চিহ্ন
নাকি ফাঁপা বৃথা সময়ের মধ্যে
গির্জার ঘন্টার ধ্বনি বাজে অবিরাম
শব-সৎকারে ব্যতিব্যস্ত অনন্ত পুরোহিত
আকাশ ও মৃত্তিকার মাঝে কিছু ধোঁয়ার কুণ্ডলী
যুদ্ধ কিংবা মহামারী শেষে
এমনকি শান্তি প্রতিষ্ঠা কালে
অপরিবর্তিত থাকে আমাদের নিয়তি।
Add Comment