-তাহমিনা শিল্পী:
আজ বাংলাদেশের কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক, নাট্য ব্যক্তিত্ব ও চলচ্চিত্রকার হুমায়ূন আহমেদের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ২০১২ সালের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুবরণ করেন কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ। গুণী এই লেখকের মৃত্যুতে গভীর শূন্যতা তৈরি হয়েছে বাংলা সাহিত্যে। দিনটিতে গভীর শ্রদ্ধা আর পরম মমতায় হুমায়ুন আহমেদকে স্মরণ করছেন তার অগণিত ভক্ত।
নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদকে নিবেদিত-
নুহাশ পল্লীর প্রতিটি ঘাস জানে তুমি তাদের কতটা আপন।কান্নাগুলো তাই লিলুয়া বাতাসে জাগায় বিরহী কাঁপন। রাজহাঁসগুলো এখনও ভাসে দিঘি লীলাবতী জলে। ডুব-সাঁতারে জলতরঙ্গ বাজে না আর মাতাল কোনও সুরে।
বর্ষা এলেই বৃষ্টি ঝরে, বৃষ্টিবিলাসের চালে থাকে না কোন ছন্দ। ভূতবিলাসের দুষ্টু ভূতেরা এখন ভীষণরকম শান্ত। লিচু তলায় নবনী গাইছে বসে মন কেমনের গান। উদাস হয়ে উড়ছে তার নীল শাড়ির আঁচল।
চেয়ারগুলো শূণ্য আজও তোমার অপেক্ষায়। দাবার কোটটা ফ্যালফ্যাল করে কেবল এদিক ওদিক চায়!
তুলোর মত নরম মেঘের পথ ধরে হাঁটতে হাঁটতে ঘোরাঞ্চলে সেই যে তুমি গেলে। ফিরলে না আর, সবকিছু ছেড়ে গিয়ে বল কি সুখ সেখানে পেলে? ছুঁ মন্তরে ফিরে এসো, একবার বাড়াও দুটি হাত। খোঁপায় কদম জড়িয়ে তোমায় নিয়ে নাচবে রূপা। গৃহত্যাগী জোছনায় ভাসবে নুহাশপল্লীর জলভরা মাঠ।
Add Comment