ইতিহাস-ঐতিহ্য

নোয়াখালীতে তিনশ বছরের পুরনো মসজিদ

-আকবর হোসাইন রনি

নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলাধীন বজরা ইউনিয়নের অবস্থিত বাজরা শাহী মসজিদ। এটি মাইজদীর চারপাশের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঐতিহাসিক স্থাপনা গুলির একটি। এটি ১৮শ সতাব্দীতে নির্মিত করা হয়। বাজরা শাহী মসজিদের পূর্ব দিকে তিনটি দরজা রয়েছে, প্রতিটি উপর অর্ধগম্বুজাকৃতির ভল্টের এবং মাঝে সরু মিনার রয়েছে।

২৯ নভেম্বর ১৯৯৮ থেকে বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ বজরা শাহী মসজিদের ঐতিহ্য রক্ষা এবং দুর্লভ নিদর্শন সংরক্ষণের জন্য কাজ করছে।

মসজিদে ঢোকার পথটি মোজাইক দিয়ে সজ্জিত করা। মসজিদটি নোয়াখালী থেকে ২০ কিলোমিটার (১২ মাইল) উত্তরে বজরা নামক গ্রামে অবস্থিত। মসজিদটির চারপাশ প্রাচীর দিয়ে ঘেরা, মসজিদে প্রবেশকরার পথটি পূর্ব দিকে। মসজিদটি দিঘীর পশ্চিম পার্শ্বে উঁচু ভিত্তির ওপর নির্মিত।

বাজরা শাহী মসজিদ

ইতিহাস
মুগল সম্রাট মুহাম্মদ শাহের রাজত্বকালে ১৭৪১-৪২ খ্রিষ্টাব্দে মসজিদটি আমান উল্লাহ কর্তৃক নির্মিত হয়। ১৯১১ থেকে ১৯২৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে বজরা জমিদার খান বাহাদুর আলী আহমদ ও খান বাহাদুর মুজির উদ্দিন আহমদ মসজিদটি ব্যাপকভাবে মেরামত করেছিলেন এবং সিরামিকের মোজাইক দিয়ে সজ্জিত করেছিলেন।
মসজিদটি বর্তমানে ভাল অবস্থায় সংরক্ষিত, এবং এটি প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সুরক্ষিত স্থানগুলির তালিকাতে রয়েছে।

স্থাপত্য
অভ্যন্তরটি বহু-শিখরের খিলান দ্বারা তিনটি ভাগে ভাগ করা।
মসজিদটি আয়তাকার(১৬ মি.×৭.৩২ মি.), মসজিদটি উত্তর দক্ষিণে লম্বা। বাইরের চার কোণায় অষ্টভুজাকৃতির বুরুজ রয়েছে।

মসজিদের পূর্বে ৩টি, উত্তরে ও দক্ষিণে ১টি করে মোট ৫টি দরজা রয়েছে। দরজা বাইরের দিকে অভিক্ষিপ্ত এবং দজার উভয় পার্শ্বে সরু মিনার রয়েছে। পূর্বদিকের তিনটি দরজা বরাবরে কিবলা দেয়াল রয়েছে যার অভ্যন্তরে তিনটি মিহরাব রয়েছে। মাঝেরটি মিহরাবটি অন্যদুটির থেকে অপেক্ষাকৃত বড়। মসজিদের অভ্যন্তরীণ দুটি কক্ষ আছে যা বহুখাঁজবিশিষ্ট আড়াআড়ি খিলান দ্বারা তিন ভাগে বিভক্ত। ছাদের উপর তিনটি কন্দাকৃতির গম্বুজ আছে যা অষ্টকোণাকার এগুলির শীর্ষ পদ্ম ও কলস চূড়া দ্বারা সজ্জিত।

আর্কাইভ

ক্যালেন্ডার

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930