পোশাকে ফাল্গুনের ফুলের রং
হ্যালোডেস্ক।। প্রকৃতিতে নতুন রুপের ছোঁয়া । ফিরছে সজীবতা। এক বছরের বন্দিজীবন থেকে নিজেরাও কি একটু একটু করে যেন মুক্ত হচ্ছি এখন। সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে শিশুদের ওপর। একটা বছর স্কুল বন্ধ, বন্ধুদের সঙ্গে দেখা–সাক্ষাৎ নেই। আগের মতো পিকনিক বা ঘুরতে যাওয়াও হয় না এখন। মহামারির আতঙ্কে অনেক দিন ধরে কোনো উৎসব পালিত হয়নি। বসন্তবরণে শিশুকে ঘোরানোর জন্য নতুন পোশাক বানিয়ে দিচ্ছেন মা- বাবারা। তবে এদিন একটু রঙিন পোশাক পরা যেতেই পারে। করোনার দীর্ঘ বিরতির পর শিশুরা অনেকটা আনন্দ উপভোগ করবে বলে জানান অনেক মা- বাবারা।
এবার ভিড়ের মধ্যে না গিয়েও ফাল্গুনে শিশুদের এবার আনন্দ দেওয়া যেতে পারে। নতুন পোশাক পরিয়ে বন্ধু বা ভাইবোনদের সঙ্গে কোথাও বেরাতে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে। অন্দরে বা ছাদে ছোট পরিসরে থাকতে পারে আনন্দ আয়োজন। আর সেটা সম্ভব না হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোনো রেস্তোরাঁয় বা ঢাকা থেকে অল্প দূরে তাদের নিয়ে ঘুরে আসা যায়।
এবার ফ্যাশন হাউজগুলোতে শিশুদের পোশাকের প্রাধান্য ভালোই দেওয়া হয়েছে। প্রথম বাচ্চাদের জন্য কুঁচি দেওয়া তৈরি করা শাড়ি ও ব্লাউজ। বসন্তের পোশাকে দেখা যাবে ফুলের নকশা। এ ছাড়া মেয়েশিশুদের জন্য তাঁরা এনেছেন ফ্রক, ঘাগড়া-টপ, টিউনিক ও টপসের ওপরে পরার জন্য শ্রাগ। উৎসবের আমেজ দেওয়ার জন্য পোশাকগুলোতে টাইডাই, পমপম, সিকোয়েন্স ও গ্লাস ওয়ার্ক রাখা হয়েছে। শিশুদের জন্য আরামদায়ক ছাপা নকশার মাস্কও পেয়ে যাবেন অনেক দোকানে।
এদিকে অনেক অনলাইনভিত্তিক বুটিকেও পাওয়া যাচ্ছে শিশুদের বসন্তের পোশাক। শিশুদের জন্য বসন্তের কিছু নমুনা পোশাক রেখেছেন। সেই নমুনা দেখে ক্রেতারা মাপ অনুযায়ী শিশুর পোশাক বানিয়ে দিতে পারবেন। মা-মেয়ের মিলিয়ে পোশাকও আছে তাঁদের সংগ্রহে। পছন্দের নকশা অনুযায়ী পোশাকও তাঁদের কাছ থেকে বানিয়ে নেওয়া যাবে।
ফ্যাশন হাউসগুলোতে যেয়ে আপনার শিশুর পছন্দের পোশাক সংগ্রহ করতে পারেন। ফাগুনের ছোঁয়া লেগে থাকুক আপনার সন্তানের হৃদয় জুড়ে।
Add Comment