পহেলা ফাল্গুনের হাত ধরেই ঋতুরাজ বসন্তের শুরু
হ্যালোডেস্ক।। প্রকৃতিতে আস্তে আস্তে শীত কমতে বসেছে। শীতের শেষ মানেই বসন্তের আগমন এবং পহেলা ফাল্গুন। পহেলা ফাল্গুনের হাত ধরেই ঋতুরাজ বসন্তের শুরু। বসন্ত মানেই গাছে গাছে নতুন ফুল, নতুন সবুজ কচিপাতা, পাখির সুর, সবমিলিয়ে প্রকৃতির নতুন মুখ।
পহেলা ফাল্গুন নিয়ে আবহমান বাংলায় রয়েছে নানা সংস্কৃতি। সাহিত্যের নানা শাখায়ও পহেলা ফাল্গুন বা ঋতুরাজ বসন্তকে নিয়ে রয়েছে নানা রচনা। কবির ভাষায় পহেলা ফাল্গুন ‘ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক আজ বসন্ত।’ বাংলার সংস্কৃতির ধারায় পহেলা ফাল্গুনে এখন দেশীয় পোশাকের প্রতিষ্ঠান বা ফ্যাশন ডিজাইনাররাও বিশেষ পোশাকের রঙ ও নকশা করে থাকেন। এসব পোশাকের রঙে ও নকশায় পহেলা ফাল্গুনের প্রকৃতির উপস্থাপন দেখা যায় ভিন্ন মাত্রায়।
ফ্যাশন ডিজাইনাররা বলেন, শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি, পোশাক বা খাবারের মাধ্যমেই যে কোনো জাতির পরিচয় উপস্থাপন হয়। এর মধ্যে পোশাক অন্যতম মাধ্যম। সেজন্যই আমরা প্রতিবছর ঋতুরাজ বসন্তের রঙের আদলে পোশাক তৈরি করে থাকি। আগে ঋতুর সঙ্গে মানিয়ে পোশাকের ব্যবহার খুব একটা দেখা যেত না। কিন্তু এখন দেশীয় অনেক ফ্যাশন হাউসই ঋতুর সঙ্গে মানিয়ে পোশাক তৈরি করছে। পহেলা ফাল্গুনকে সামনে রেখেও অনেক ফ্যাশন হাউসের পোশাক দেখা যায়। এটা আমাদের এক ধরনের সাংস্কৃতির বিপ্লব এবং এর জন্য দেশীয় ফ্যাশন হাউস এবং ফ্যাশন ডিজাইনাররাই বেশি ভূমিকা রেখেছেন।
পহেলা ফাল্গুনকে ঘিরে এর মধ্যেই দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলো এনেছে নানা রঙ ও নকশার পোশাক। ফ্যাশন হাউসগুলোও তাদের বিক্রয় কেন্দ্রে নানা নকশার ফাল্গুনের পোশাকের পসরা সাজিয়েছে।
পোশাক হাউজগুলো পহেলা ফাল্গুন উপলক্ষে এনেছে বাহারি সব রঙ ও নকশার পোশাক। এসব পোশাকের রঙে প্রাধান্য পেয়েছে হলুদ রঙ ও বসন্তের নানা রঙের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য। হাউজগুলোতে ফাল্গুনের শাড়ির দাম পড়বে ১ হাজার ২৫০ থেকে ৪ হাজার ৫০০, সালোয়ার-কামিজ ১ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০, ফতুয়া ৭৫০ থেকে ১ হাজার ৫০০, পাঞ্জাবি ১ হাজার ২৫০ থেকে ৩ হাজার ৫০০, ফতুয়া ৭৫০ থেকে ১ হাজার ২৫০ এবং শিশুদের পোশাক ৭০০ থেকে ১ হাজার ২৫০ টাকা। ফাল্গুনের এসব পোশাক পাওয়া যাবে বিভিন্ন মার্কেটসহ বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসে।
মডেল : রোমানা আমিন ও নাহিদ
পোশাক ও গহনা : “সোনিয়া’স রং তুলি” এবং “বেন্ড দ্যা ট্রেন্ড”
ফটোগ্রাফার : আল আমিন সবুজ, তানজিদ রাহমান অ্যান্ড শেইখ রাফি
এজেন্সি : কিউরিয়াস ক্যাপচার
Add Comment