সাময়িকী: শুক্র ও শনিবার
-নিনা ফেয়া
ঝাঁঝালো বিষ খেয়েও মরিনি যখন,
মরে যাচ্ছি যাচ্ছি…তখন,
যখন বলিনি কাউকে বাঁচান, ফিসফিস করেও না
কানে যখন শুনছিলাম ; একদল মানুষ আমার ঘরের দরজা ভাঙছে দ্রুম দ্রুম
ঘরে ঢুকে কেউ আমার নিজস্ব ড্রয়ার সজোরে টান মেরে পরীক্ষা করছে ভেতর,
একজন হাসপাতাল কর্মী হাঁকিয়ে বলছে “এখানে হবেনা ঢাকা মেডিকেল যান”,
একদল মানুষ আমাকে বাঁচানোর তাড়নায় কী ব্যাকুল হয়ে দ্রুত এ্যাম্বুলেন্সে টেনে উঠিয়েছিলেন!
তখনও চাইনি বাঁচি।
তারপর যখন আমি কিছুই শুনছিলাম না ; তখনও চাইনি,
আমি চাইনি অথচ মানুষগুলো চেয়েছিল,
কেন চেয়েছিল, কিসের জন্য চেয়েছিল, তা এখনও জানিনা
মানুষ মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেবার পর, আবার কেন বাঁচানোর জন্য হায় হায় করে,
তা জানতে পারিনি আজও।
প্রতিদিন সন্ধ্যায় মরে যাই যাই যখন, তখন কেউ না কেউ বাঁচিয়ে তোলে,
এখনও জানিনা, প্রতিদিন যদি মরতেই হবে, তবে জন্ম নিই কেন আমি?
কেন কেউ জাগিয়ে তোলে আমায়, নতুন ভেসে ওঠা বাঁকা চাঁদের মতো?
দু’চারটে কথা কেবল পড়তে পারি,
বুঝতে পারি এইটুকুই, ঈশ্বরের খুব ক্ষুধা আমার মাংস খাবার,
নিজের গলা টিপে ধরে নিজেকে তাই মারতে পারি,
সন্ধ্যায় হলে দু’চার কথা লিখতে পারি…, বলতে পারি,
আলোর খোঁজে হাওয়ায় হাওয়ায় চড়তে পারি রাতের গাড়ি,
আমি ভীষণ মরতে পারি,
বেঁচে উঠি একইরকম।
Add Comment