হ্যালোডেস্ক
১৫ অক্টোবর ২০২২
গল্পটা মুক্তিযুদ্ধের সময়ের। মৃত ঘোষিত সাত মাস বয়সী এক সন্তানকে নিয়ে তার অসহায় মায়ের আবেগের গল্প। সাজিয়ে-গুছিয়ে তা সিনেমা আকারে পর্দায় তুলে আনছেন নির্মাতা অরণ্য আনোয়ার। নাম দিয়েছেন ‘মা’। আর সেই মায়ের ভূমিকায় চিত্রনায়িকা পরীমণি।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে শুরু হয় ‘মা’ সিনেমার কাজ। এরমধ্যে মাতৃত্বের কারণে সাময়িক অবসর নেন পরী। তবে তার আগে শেষ সিনেমা হিসেবে ‘মা’র কাজ সম্পন্ন করেন। অবশেষে এটি মুক্তির অনুমতি অর্থাৎ সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র লাভ করেছে। বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) সিনেমাটি দেখার পর প্রশংসাসমেত ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বোর্ডের সদস্যরা।
নির্মাতা অরণ্য আনোয়ার বলেন, বিনা কর্তনেই ছাড়পত্র পাচ্ছে তার সিনেমাটি। উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে তিনি বললেন, ‘বোর্ডের সদস্য অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস ফোন করে ভূয়সী প্রশংসা করেন। জানান, বোর্ড সদস্যরা সর্বসম্মতিক্রমে আনকাট ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’
ছাড়পত্রের খবর শুনে খুশিতে বাঁধ মানছে না পরীমণির। একদিকে তিনি এখন মা, অন্যদিকে সিনেমার নাম ‘মা’, আবার সিনেমায় তার চরিত্রটিও মায়ের। সব মিলে মাতৃত্বের ভেতরে ডুবে থাকা এই নায়িকা বলেন, “আমি তো অনেক খুশি যে আনকাট সেন্সর পাচ্ছে। এই সিনেমার জার্নিটা সারা জীবনের স্মৃতি হয়ে থাকবে আমার। ‘মা’ যখন শুটিং করি, তখন চার মাসের রাজ্য (পরীর পুত্র) আমার পেটে ছিল। আর যখন মুক্তি পাবে, তখন ও আমার কোলে থাকবে। এটা যে কতটা আনন্দের অনুভূতি, বোঝানো যাবে না।”
এই সিনেমায় পরী ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন আজাদ আবুল কালাম, ফারজানা ছবি, সাজু খাদেম, রেবেনা করিম জুঁই, শিল্পী সরকার অপু, সেতু, লাবণ্য, শাহাদাত হোসেন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, অরণ্য আনোয়ার দেশের পরীক্ষিত নির্মাতাদের একজন। যিনি ‘আমাদের নুরুল হুদা’র মতো নাটক নির্মাণ করে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন। তিন দশকের ক্যারিয়ারে ‘মা’ তার প্রথম নির্মিত সিনেমা। তাই আয়োজন-চেষ্টায় কোনও ত্রুটি রাখছেন না তিনি। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরই বড় পর্দায় অরণ্যে পুলক (এপি)-এর ব্যানারে নির্মিত সিনেমাটি মুক্তি দিতে চান নির্মাতা।
প্রসঙ্গত, গত ১০ জানুয়ারি হঠাৎ পরীমণি জানান, তিনি মা হতে চলেছেন। আর তার স্বামী অভিনেতা শরিফুল রাজ। দুজনে ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর গোপনে বিয়ে করেছিলেন। এরপর চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি পারিবারিক আয়োজনে সারেন বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। গত ১০ আগস্ট পুত্রসন্তানের মা হন পরী। যার নাম রেখেছেন শাহীম মুহাম্মদ রাজ্য।
Add Comment