হ্যালোডেস্ক
০৭ জুলাই ২০২২
‘রবার্ট ম্যাথিউ’ আজীবন সম্মাননা পুরষ্কার ২০২২ পেলেন বাংলাদেশের ‘সাতত্য’ এর প্রধান স্থপতি অধ্যাপক রফিক আজম।
কমনওয়েলথ স্থপতি সংস্থা (CAA) কর্তৃক আয়োজিত আজীবন সম্মাননা পুরষ্কারের নবম গ্রহীতা হলেন স্থপতি রফিক আজম।
রফিক আজমের স্থপতি জীবনের সকল অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে এই পুরষ্কার প্রদান করা হয়েছে।
১৯৮৩ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটি এই ধরনের পুরস্কারের আয়োজন করে আসছে। গত প্রায় চল্লিশ বছরে এ পর্যন্ত আটজনকে এই পুরষ্কার প্রদান করা হয়েছে।
বিগত দিনে পুরস্কার প্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ফিলিপ কক্স (১৯৮৩), যুক্তরাজ্যের অরূপ এসোসিয়েটস (১৯৮৫), ভারতের রাজ রাওয়াল (১৯৮৯), যুক্তরাজ্যের হ্যাম্পশায়ার কাউন্টি কাউন্সিল (১৯৯১) এবং ইয়ান রিচি আর্কিটেক্টস (১৯৯৪), অস্ট্রেলিয়ার গ্রেগ বার্জেস আর্কিটেক্টস (১৯৯৭), মালয়েশিয়া হতে টি আর হামযাহ এবং কেন ইয়াং (২০০০) এবং ভারতের বালকৃষ্ণ দোশী (২০০৩)।
কমনওয়েলথ অন্তর্ভুক্ত রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে স্থাপত্যের উন্নয়নে তাঁর নিরন্তর উদ্ভাবনী অবদানের জন্য ২০২২ সালে স্থপতি রফিক আজম এই সারিতে নবম গ্রহীতা হিসেবে সম্মানিত হলেন।
এই পুরষ্কারটি এমন স্থাপত্যচর্চায় প্রদান করা হয় যা স্থাপত্যচর্চার দেশীয় এবং আঞ্চলিক প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ন অবদান রাখে। এই পুরষ্কারটি স্থপতিদের সমগ্র জীবনের কৃতিত্বকে সম্মাননা জানাতে মূলত প্রদান করা হয়।
পুরষ্কারটির সিদ্ধান্ত একটি ৫ সদস্য বিশিষ্ট বিচারকদলের মাধ্যমে সর্বসম্মত ভাবে গৃহীত হয়, যেখানে সদস্যরা ছিলেন স্থপতি সাইফ উল হক (এশিয়া), অধ্যাপক আলফ্রেড ওমেনিয়া (আফ্রিকা), স্থপতি জোনাথান মিতজি (ইওরোপ), স্থপতি লিজ ওয়ালশ (ওশেনিয়া) এবং স্থপতি জেনিফার স্মিথ (আমেরিকা)।
আগামী মাসে (৮ আগস্ট) ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে কমনওয়েলথ স্থপতি সংস্থার সাধারণ সভায় পুরষ্কারটি স্থপতি রফিক আজমকে প্রদান করা হবে।
Add Comment