-ফারজানা রহমান তাজিন
শরৎঋতুতে পোশাকের রং আর নকশায় থাকে বিভিন্ন রংয়ের খেলা। শরৎ এর হাওয়ায় প্রকৃতি যেন শিল্পীর তুলির আঁচড়ে আঁকা জীবন্ত এক ক্যানভাস। প্রকৃতির এই ক্যানভাসের অংশ হতে পোশাকের রংটি হওয়া চাই মানানসই। ঋতু বদলের পালায় আবহাওয়ার পরিবর্তন তো হবেই। তাই পরিবর্তন হয় পোশাকেও। বিশেষ করে এই সময়ে সবচেয়ে বেশি ভাবতে হয় বাড়ির শিশুদের নিয়ে। কেননা শিশুর পোশাক কেমন হবে, কী ধরনের পোশাক শিশুদের জন্য আরামদায়ক হবে। এসব ভাবনা চলে আসে প্রকৃতির রূপ বদলের সঙ্গে সঙ্গে। মার্কেট আর ফ্যাশন হাউসে এখন মিলবে শিশুদের জন্য বিভিন্ন পোশাক, ভয়েল, সুইস ভয়েল, আদ্দি, ভিসকস, মিক্সড ভয়েল, বেক্সি ভয়েলসহ নানারকম কাপড়ে তৈরি হচ্ছে শিশুদের পোশাকগুলো। এ ছাড়া কটনের সঙ্গে টি-শার্ট ফেব্রিক দিয়েও তৈরি হচ্ছে পোশাক। বাজারে আছে সুতি, লিনেন ও গেঞ্জি কাপড়ের বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাক।
শিশুরা যেহেতু বেশি ছোটাছুটি করে তাই ঘাম হয় বেশি। একারণে শরৎ কালে শিশুদের পোশাক নির্বাচনে সুতির কাপড় বেছে নিন। বিভিন্ন ধরনের ভয়েল, পাতলা তাঁত কাপড় আরামদায়ক। দৌড় ঝাপ করে হঠাৎ ফ্যানের বাতাসে একটু জিরোতে নিলেই যেন ঠান্ডা লেগে যায়। বিপদ ঘটে একটু মোটা কাপড় পড়লেই। আবার অনেক সময় ঘাম শুকিয়ে সর্দি কাশি হবার উপক্রম হয়। এসব ভাবনা চলে আসে প্রকৃতির রূপ বদলের সঙ্গে সঙ্গে। এ সময়টায় সূর্যের তেজ একটু একটু করে কমতে থাকে। যে কারণে গরম এবং হালকা ঠান্ডা মিলিয়ে অন্যরকম এক আবহাওয়া সৃষ্টি হয়। তাছাড়া ফতুয়া কিংবা ছোটদের কামিজে এন্ডিসিল্ক কাপড়ের প্রাধান্য রয়েছে। বাজারে আছে সুতি, লিনেন ও গেঞ্জি কাপড়ের বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাক। একারণে শরৎ কালে শিশুদের পোশাক নির্বাচনে কাপড় গুলো বেছে বেছে নিন।
শিশুদের জন্য যে ধরনের পোশাকই নির্বাচন করা হোক না কেন, তা যেন খুব বেশি টাইট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বাতাস চলাচল করতে পারে এমন ঢিলেঢালা পোশাক শিশুদের জন্য বেশি উপযোগী।
Add Comment