হ্যালোডেস্ক
-ফারজানা রহমান তাজিন
নারীর অহঙ্কার শাড়ি। যুগ যুগ ধরে শাড়ি তার রং-রূপ পাল্টেছে কিন্তু এর কদর কমেনি এতটুকুও। আর শাড়ি পড়তে কোন ঋতু লাগে না। সব ঋতুতেই শাড়ি পড়া যায়। তবে প্রতিটি ঋতুতে শাড়ির ধরন পাল্টে যায়। তাই বাঙ্গালী নারীরা ঋতু ভেদে শাড়ি চয়েজ করে থাকেন।
বাজারে বিভিন্ন শাড়ির মধ্যে জামদানি, সিল্ক, বেনারশি, সুতি এসব শাড়ির পেছনে যেন বেশিই ভাললাগা নারীদের। হালকা কাজ, সুন্দর ডিজাইন, পরে আরাম পাওয়া যায়, আর সৌন্দর্যের সবটুকুই যেন প্রকাশ পায় শাড়িতে এমনটিই খুঁজে থাকেন বাঙালি নারী।
শাড়ির প্রচলন ২৮০০-১৮০০ খ্রিষ্টপূর্ব সময়ে, সভ্যতার আরম্ভে। মজার কথা হলো শাড়িতে কেনো কোনো সেলাই নেই ভেবেছেন কী কারণ, পূর্বে কাপড়ে সেলাইয়ের প্রথাতো ছিলই না বরং কাপড়ে সেলাইকে অপবিত্র মনে করা হত। এভাবেই বিভিন্ন পথ অতিক্রম করে আজকের শাড়ী তার নিজ রূপ ধারণ করেছে। নারীরা অহঙ্কার স্বরুপ শাড়ি ব্যবহার করছে আজ।
বাঙ্গালী নারীদের কাছে সুতি শাড়ির আবেদন সবসময়েই রয়েছে। চিকন পাড়, মোটা পাড়, হাতের কাজ, বুটিকের কাজ কত না ধরন শাড়িতে। তরুণীরা তাই ভারী কাজের শাড়ি যেমন পছন্দ করে ঠিক তেমনি শিফন বা জর্জেটের শাড়িগুলোও পছন্দ করে।
বিভিন্ন শাড়ি রয়েছে জায়গার নামে। এই যেমন টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি, রাজশাহী সিল্কের শাড়ি, মনিপুরি তাঁতের শাড়ি। এসব শাড়ির বুননে আর গঠনে আছে ভিন্নতা।
অনেকের ধারণা, সুতির শাড়ি কেবল সাদামাটাভাবে উপস্থাপন করলেই ভালো দেখাবে, দিনের বেলার ঘরোয়া অনুষ্ঠানেই শুধু এটি মানায়। কিন্তু সঠিক অনুষঙ্গ ও সাজের মাধ্যমে এটি যেকোনো ধরনের অনুষ্ঠানেই পরার উপযোগী করে তোলা যায়।
মোট কথা, সুতির শাড়ির সঙ্গে সাজগোজ হওয়া চাই খুব স্নিগ্ধ। নারীদের সাজগোজ করাটা একটা শিল্প। আর যেরকম শিল্পের কোনও ঠিক বা ভুল থাকে না, তেমনই সাজগোজ করারও সেই অর্থে কোনও ঠিক বা ভুল নিয়ম নেই যেমন, কেউ খুব উজ্জ্বল এবং রংচঙে মেকআপ করতে পছন্দ করেন, আবার কেউ বা ন্যাচারাল ‘নো মেকআপ লুক’ রাখতে পছন্দ করেন, আবার কারও পছন্দ ‘নুড মেকআপ লুক’।
তাই বলতেই হয় বাঙলী নারীর সংস্কৃতিতে শাড়ি তার সাথে স্নিগ্ধ সাজগোজ এ যেন এক মাধুর্যতার সূর্যস্নান।
Add Comment