রঙঢঙ

শীতের ফ্যাশন হোক রঙেঢঙে

হ্যালোডেস্ক

প্রকৃতিতে শীতের আমেজ যেন কড়া নাড়ছে। কিছুদিনের মধ্যেই যে শীত চলে আসবে তা জানান দিচ্ছে বাতাস। অনেকেই মর্নিং ওয়াক করার সময় কিংবা খুব রাতে বাড়ি ফেরার পথে গায়ে একটা হালকা শীতের কাপড় চাপাচ্ছেন। তার মানে শুরু হয়ে গেলো প্রস্তুতিপর্ব।

কেউ ছুটি কাটানোর প্ল্যান বানাচ্ছেন, কেউ ঠিক করছেন কোন কোন মেলায় যাওয়া যায়! কিন্তু তারও আগে প্রয়োজন কিছু বেসিক প্রস্তুতির। ফ্যাশন থেকে রূপচর্চা, রইল কিছু গাইডলাইন।

শীতের ওয়ারড্রোব
প্রথমেই আলমারিটা নতুনভাবে গুছিয়ে ফেলুন। ফুলস্লিভ টি-শার্ট বা একটু মোটা কাপড়ের পোশাকগুলো সামনের দিকে রাখুন। জাম্পার, সোয়েটার, উলি-কট ড্রেস, লেদার জ্যাকেট পরার আগে একটু রোদে দিয়ে নিন।

কোথাও বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান না থাকলে এমন পোশাক বের করুন যেগুলো মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ করে বা লেয়ার করে নতুন লুক পেয়ে যাবেন। পঞ্চো, হালকা শাল এ সবেই মোটামুটি ঠাণ্ডা কেটে যাবে। হালকা শীতে ওভারঅল ডেনিমের সাজও ভালো লাগে।

ঠাণ্ডা পড়লেই আমাদের নতুন শীত-পোশাক কিনতে ইচ্ছে করে। তবে শপিংয়ে যাওয়ার আগে মাথায় রাখবেন আমাদের শহরে শীতকাল খুবই ছোট। তাই খুব দামি শীত-পোশাকে বিনিয়োগ করবেন কি না ভেবে দেখুন।

শীতের রং
ডার্ক শেড পরার সেরা সময় শীতকাল। কালো, ধূসর, অলিভ গ্রিন, মেরুন, ইয়েলো, ম্যাজেন্ডা, প্লামের মতো রঙের পোশাক পরুন। চেক্স, টুইড পরুন। ধূসর শেডের পোশাকের সঙ্গে কালার পপ করার জন্য রঙিন স্কার্ফ ব্যবহার করুন। অনেক সময় দিনের বেলা গলা মুড়ে স্কার্ফ পরলে গরম লাগে। সে ক্ষেত্রে রেট্রো স্টাইলে মাথার চারপাশে স্কার্ফ পরতে পারেন।

জুতোর দিকে নজর দিন। হাই বুটস না হলেও অ্যাঙ্কেল বুটস পরতে পারেন। না হলে এখন নানা স্টাইলের ফ্যাশনেবল স্নিকার্স পেয়ে যাবেন। কোনোটা আবার বুটসের মতোই দেখতে। এই শীতে পোশাকের সঙ্গে ব্লক হিলসও পরতে পারেন। আবার পা ফাটার সমস্যা যাদের বেশি তারা নানা রকম কিউট মোজা পরতে পারেন।

মডেল: নিগার শারমিন মীম

ত্বক ও চুলের যত্ন
শীতকালে ত্বক আর্দ্রতা হারায়। ঘরের ভেতর ও বাইরের তাপমাত্রায় যেহেতু একটা পার্থক্য দেখা যায়, তাই ত্বকের আর্দ্রতার ভারসাম্যও নষ্ট হয়ে যায়। স্বাভাবিকভাবেই শুকনো হাওয়ায় ত্বক ফাটতে শুরু করে। তাই দিনে তিন-চারবার ময়েশ্চারাইজার লাগানো দরকার।

মুখ ধোয়ার পর মুখে ভেজা ভাব থাকা অবস্থায় ময়েশ্চারাইজার লাগান। শীতকালে শরীরের অয়েল গ্রান্ড থেকে তেল কম নিঃসৃত হয় বলে হাত-পায়ের ত্বক শুষ্ক ও খসখসে হয়ে যায়। তাই গোসলের পরপরই ত্বকে অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করে নিতে হবে, এতে আর্দ্রভাব অনেকক্ষণ বজায় থাকে।

মাঝে মাঝে ম্যানিকিউর ও প্যাডিকিওর করাতে পারেন। এ সময় চুলের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। আগা ফাটা, নির্জীব হয়ে যাওয়া, গ্রোথ কমে যাওয়া, খুশকি ও চুল পড়া শীতকালে বেড়ে যায়।

তাই চুলে নিয়মিত তেল ম্যাসাজ করতে হবে। সপ্তাহে দুইবারের বেশি শ্যাম্পু না করাই ভালো। চুলে ময়েশ্চারাইজার বজায় রাখার জন্য ভালো কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।

Add Comment

Click here to post a comment

আর্কাইভ

ক্যালেন্ডার

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930