-অমিত গোস্বামী, কলকাতা
পথ ছিল না, রাস্তা ছিল,
আস্থা ছিল তোমার ওপর,
গোপন করা কাঁটাও ছিল –
ফোটার মত গোলাপ কাঁটা,
টের পাই নি,
এগিয়ে আমি দেখেছিলাম প্রমত্ত ভোর,
নদীর পারে হাত জড়িয়ে দেখিয়েছিলে জোয়ারভাঁটা।
নদীর জলের রঙ কালো কি?
আমি তখন কালচে জলে
পা ডুবিয়ে ছলাতছলো বলেছিলাম –
এমন বেলায় রোদ যে কেন আজ আসে নি!
লুকোচুরি খেলার ছলে
দু’চোখ টিপে বললে তুমি –
সুয্যিঠাকুর মেঘের ভেলায়।
নীল আকাশে মেঘ ছিল না,
সূর্য আড়াল গ্রহনগ্রাসে,
দিগন্ত মাঠ গরল বরণ,
শাঁখ বেজেছে, রাহু এলেন,
ক্ষমতাবান ঠাকুর তিনি,
নইলে এমন শ্রাবণ মাসে
নিয়ম নীতি চুলোয় তুলে শ্মশ্রু
নেড়ে আগুন খেলেন!
তুমি দেখে বললে আমায়
সুয্যি না হয় নাই বা উঠুক
পদ্মাপারের দুপাশ জুড়ে মেঘরা
দেখ কী বিস্তৃত আমার
তোমার এই যে হঠাৎ দেখা হল,
থাক ওটুকু তোমার আমার জীবন
এখন দুই নদীতে প্রবাহিত।

Add Comment