হ্যালোডেস্ক
১৪ এপ্রিল ২০২৩
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) ও বাংলা একাডেমির যৌথ উদ্যোগে ‘বৈশাখী মেলা-১৪৩০’ শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) থেকে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এই মেলা শুরু হয়েছে।
বিসিক চেয়ারম্যান মুহ. মাহবুবর রহমান জানিয়েছেন, দেশের কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই) উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্যের বিপণন ও প্রদর্শনের সঙ্গে রয়েছে মেলার নিবিড় সম্পর্ক। সিএমএসএমই পণ্যের বেচা-কেনার স্থান হিসেবে মেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
তিনি বলেন, শুধু উৎপাদিত পণ্যের বেচা-কেনাই হয় না, নতুন নতুন নকশা, নমুনা, উৎস, দর ইত্যাদির সঙ্গে ক্রেতা-বিক্রেতা ও উদ্যোক্তাদের পরিচয় হয়। তাই পণ্যের বিপণন ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের অন্যতম মাধ্যম হলো মেলা।
জানা গেছে, এবারের বৈশাখী মেলায় একইসঙ্গে থাকছে আকর্ষণীয় ডিজাইন ও সুলভমূল্যের বিভিন্ন স্বদেশি পণ্য। জামদানি, পোশাক, ডিজাইন ও ফ্যাশনওয়্যার, নকশি কাঁথা ও নকশি পণ্য, হস্ত ও কারুশিল্প পণ্য, পাটজাত পণ্য, চামড়াজাত পণ্য, বাঁশ ও বেতের পণ্য, মৃৎশিল্প পণ্য, শতরঞ্জি এবং শীতলপাটিসহ হরেক রকমের স্বদেশি পণ্যের সমাহার। এছাড়া থাকছে মধু ও খাদ্যজাত পণ্য এবং শিশু কিশোরদের জন্য বিনোদন ব্যবস্থা।
আয়োজকরা জানান, মেলায় মোট স্টল রয়েছে মোট ৮৮টি। যার মধ্যে চামড়াজাত ও পাটজাত পণ্য ১৩টি, ফ্যাশন ও বুটিকস পণ্য ৪৮টি, খাদ্যজাত পণ্য ১০টি, বাঁশ, বেত ও হস্তশিল্প পাঁচটি, বিসিক মধু দুটি ও কর্মরত কারুশিল্পের ১০টি স্টল রয়েছে।
তারা জানান, বৈশাখী উৎসব বাংলাদেশের সমৃদ্ধ সংস্কৃতির গৌরবময় উত্তরাধিকার। একে ঘিরে জাতি-ধর্ম-বর্ণ কিংবা ধনী-গরিব নির্বিশেষে সব মানুষের মধ্যে এক ধরনের সম্মিলন ও ঐক্য গড়ে ওঠে। বৈশাখী মেলা আবহমান বাংলার চিরায়ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
হাজার বছর ধরে গ্রামে-গঞ্জে বৈশাখী মেলার আয়োজন হলেও ইদানিং শহর-নগরেও এ মেলার আয়োজন দেখা যায়। বাংলা একাডেমি চত্বরে আয়োজিত আজকের এই বৈশাখী মেলা এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এটি নগরবাসীকে ক্ষণিকের জন্য হলেও অনাবিল আনন্দ উপভোগের সুযোগ করে দেয়।
বিসিকের উদ্যোগে দেশের কারুশিল্পীদের মধ্যে তাদের কাজের দক্ষতার স্বীকৃতি স্বরূপ কারুশিল্পী পুরস্কার-১৪২৯ প্রদান করা হবে। যার মাধ্যমে একজন শ্রেষ্ঠ কারুশিল্পীকে কারুরত্ন ও নয়জন লাখ কারুশিল্পীকে কারুগৌরব পুরস্কার দেওয়া হবে।
Add Comment