ঘুমন্ত চারিপাশ।
নিরব নিথর দেহ গুলিকে ঘিরে রেখেছে ঘুম।
কেও ঘুুমিয়ে চলে গেছে স্বর্গরাজ্যে,
কেওবা আবার চির অশান্ত হ্রদয় নিয়ে বালিশটাকে স্থির রেখে বিনিদ্র রাত কাটাচ্ছে।
কেও কেও আটকে আছে কঠিন বাস্তবতায়।
কেওবা আবার অনিঃশেষ আনন্দে জীবনকে উপলব্ধি করছে নতুন করে।
ঘুম এলেই মানুষ নাকি নিজেকে সব থেকে নতুন নতুন রুপে,
নানা রংয়ে, স্বপ্নে, দুঃস্বপ্নে আবিষ্ট হতে পারে।
তাহলে কি ঘুম সব স্বপ্নকে স্থির রেখে চির সুখে দিনাতিপাত করতে শেখায়?
আবার এওতো হতে পারে ঘুম আমাদের সুন্দর স্বপ্নকে ভেঙ্গে চুরে পাথর করে দেয়।
ঘুম এলেই খেই হারিয়ে ফেলি।
ঘুম যেন এক নীরব শাস্তি।
যখন তখন ঘুমের মধ্যে মানুষের পৈশাচিক আক্রমণ আমাকে তাড়া করে ফেরে।
প্রতিনিয়তই আমরা তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়ছি।
তন্দ্রার ভেতরে স্বজনকে হারাচ্ছি, জালাচ্ছি, পোড়াচ্ছি, ধ্বংস করছি।
এ কেমন অদ্ভুত আচরণ?
কেন আমরা মানবিক মানুষ হয়ে উঠতে পারছি না?
আমরা একটি সভ্য যুগের বাসিন্দা,
কেন বারবার সেটা ভূলে গিয়ে বর্বর নরপিশাচদের মত ঘৃন্য কর্মকান্ডে লিপ্ত হচ্ছি?
কেন আমাদের অবচেতন আচরণকে জলাঞ্জলি দিয়ে স্বাভাবিকত্বে ফিরতে পারছি না?
ভাল মন্দের বিভেদ বুঝেও কেন না বোঝার ভান করছি।
এটাই কি মানবতাবাদী মানুষের আচরণ?
নিশ্চয়ই না।
আসুন সকলে একটি মানবিক সমাজ বিনির্মাণে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যাই।
-শিরিনা বীথি
Add Comment