আজকের দেশ

ডেঙ্গুর উপসর্গ ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা

ছবি: ইন্টারনেট

মশাবাহিত ভাইরাস-জনিত ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ফ্লুয়ের মতো হলেও এই অসুখ প্রাণঘাতীও হতে পারে।

তাই ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা সবারই জানা থাকা দরকার।

ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্সের মেডিসিন বিভাগের পরামর্শদাতা ডা. কামরুল হাসান (বিসিএস স্বাস্থ্য)।

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে জ্বরের তাপমাত্রা হয় অনেক বেশি, গড়াতে পারে ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত।

তবে, তরুণ এবং শিশুদের ক্ষেত্রে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার পরও ‍উপসর্গ দেখা যায় খুবই সামান্য কিংবা একেবারেই উপসর্গহীন।

উপসর্গগুলো প্রকট হয় ডেঙ্গুর ভাইরাসবাহি মশা কামড়ানোর চার থেকে সাত দিন পর।

লক্ষণ:
এই রোগের কিছু সাধারণ উপসর্গ হল- * বিরামহীন মাথাব্যথা। * হাঁড়, হাঁড়ের জোড় ও পেশিতে ব্যথা। * বমিভাব ও বমি হওয়া। * গ্রন্থি ফুলে যাওয়া। * সারা শরীরের ফুসকুড়ি দেখা দেওয়া। * চোখের পেছনে ব্যথা হওয়া, ইত্যাদি।

কী খাবেন:
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং প্রচুর পরিমাণে তরল গ্রহণ করার মাধ্যমে দ্রুত রোগমুক্ত হওয়া যায়। এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যেই ডেঙ্গু সচরাচর সেরে যায়।

তবে কিছু রোগীর ক্ষেত্রে পরিস্থিতি এতটাই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায় যে মৃত্যুর হুমকি দেয়।

ডেঙ্গু জ্বরের তীব্র পর্যায়ে ধমনি ছিদ্র হয়ে যায় এবং রক্তে অনুচক্রিকার সংখ্যা কমতে থাকে। ডেঙ্গুর এই তীব্র মাত্রাকে ডাক্তারি ভাষায় বলা হয় ‘ডেঙ্গু হেমোরেজিক’ বা ‘ডেঙ্গু শক সিনড্রোম’।

এই অবস্থায় দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

‘ডেঙ্গু শক সিনড্রোম’য়ের উপসর্গ হল- * শ্বাস-প্রশ্বাসে অসুবিধা হওয়া কিংবা শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি বেড়ে যাওয়া। * ত্বক শীতল হয়ে যাওয়া। * অবিরাম অস্বস্তি। * ত্বকের ভেতরের অংশে রক্তক্ষরণের কারণে ত্বকের উপরের অংশে লাল ছোপ সৃষ্টি হওয়া। * বমি, মল কিংবা প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যাওয়া। * প্রচণ্ড পেট ব্যথা ও অনবরত বমি হওয়া। * নাক ও দাঁতের মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণ এবং অবসাদ।

এই উপসর্গগুলো চোখে পড়লে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া উচিত।

করণীয়:
ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য ‘ডেঙ্গু ভ্যাক্সিয়া’ নামক টিকা পাওয়া যায়। যা ৯ থেকে ৪৫ বছর বয়সিদের জন্য প্রযোজ্য।

১২ মাসে তিন ডোজের মাধ্যমে এই টিকা দেওয়া হয়। প্রায় ৫০ শতাংশ কার্যকর এই টিকা।

তবে ওয়ার্ল্ড হেল্থ অর্গানাইজেশনের মতে, শুধূ এই টিকা কোনো সমাধান নয়। মশার বংশবিস্তার কমানো এবং মানুষকে মশার আক্রমণ থেকে বাঁচানোই ডেঙ্গু থেকে দূরে থাকার প্রধান উপায়।

প্রতিরোধ:
ডেঙ্গুর ভাইরাসবাহী এডিস মশা দিনের বেলায় সক্রিয় থাকে বেশি। তাই দিনের বেলা মশা যাতে না কামড়ায় সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে।

যদি সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে এই মশা রাতেও কামড়ায়।

তাই মশার কয়েল, মশারি, অ্যারোসল, মশা প্রতিরোধক ক্রিম যেমন- ওডোমস ইত্যাদি নিয়মিত ব্যবহার করার চেষ্টা করতে হবে।

এই মশা পরিষ্কার পানিতে ডিম পারে। তাই মশার বংশ বিস্তার রোধে খোলা পাত্রে পানি যাতে না জমে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

আর বদ্ধ জলাশয়ে যেন মশা ডিম পাড়তে না পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে।

তথ্য: ইন্টারনেট

আর্কাইভ

ক্যালেন্ডার

December 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031