সাময়িকী: শুক্র ও শনিবার
-জাকির আবু জাফর
সময় কেবল ওঁৎ পেতে থাকে
জীবনের দিকে- যা এক অদৃশ্য হাঙর
ছকে পা দিলেই ভোজবাজি-
কুপোকাত নিদারুণ!
হোক খোড়া কিবা অন্ধ মশার হুল
প্রচণ্ড দাপুটে শাসক নমরূদ
যে কিনা খোদার রক্তের নেশায়
তীর ছুঁড়েছিলো আকাশের দিকে
এক খোড়া- লুলা মশার সামান্য
হুলের চিমটিতে তারই জীবন
নিভে গেলো কী বিস্ময়ে!
সেই মশা আজ ভয়াবহ ডেঙ্গু -জননী
মানুষের রক্তে তুমুল ঘূর্ণির উদগাতা
মশক লার্ভায় ভরে গেছে বাংলাদেশ
মনুষ্য শরীর ছেদে ঢালে বিষ-
নাকাল জনপদ এ এক বিষের উত্তাল প্রলয়
-দেহে তোলে বিধ্বংসী সুনামি
মুহূর্তে বদলে যায় জীবনের রঙ
শরীরে রক্তের নদীগুলো বর্ষার
ভাঙনের অনুরূপ হয়ে ওঠে
বিশৃঙ্খল শিরার সীমানা ভেঙে ছোটে
বিপদ জনক সীমায় চোখে মুখে
দাঁতে সব রোমকূপে রক্তের
উল্লম্ফন রক্তের এমন বেসামাল
তীব্রতায় কী আছে লাগাম!
এ তো মহামারী ঘন দুর্যোগ!
রক্তের সমস্ত বাঁধন ভেঙে
যে দুর্দশা দাপিয়ে তোলে তাকে
ঠেকা দেবার মন্ত্রণা মানুষের নেই কী
অসহায় মানুষের জনম-
কী নিঃস্ব মানবীয় অভিযাত্রা
কী করার থাকে মানুষের
-কী করে মানুষ!
পদ্মার ভাঙন যখন শিরায় তোলপাড়
ইট সুরকির চুরচুর মতো ভাঙে প্লাটিলেট
তাকে বস করার বিধান কি দেবে মানুষ!
কেউ কেউ ঠেকে যায়
মৃত্যুর হিমাচলে ফেরেন কেউ কেউ
যেনো এক নতুন জীবনের দিকে
জীবনের কাছে মৃত্যুর অধিক কিছু নেই!
Add Comment