আগ্নিশিখা’র ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে
‘বেশ্যা’ একটি শব্দ,
‘বেশ্যা’ একটি জাতের নাম,
‘বেশ্যা’ মানে একটি নষ্টা নারী
যার ঘরের দুয়ারের মাটি ছাড়া
দেবী দূর্গার বোধন হয়না। কারণ যেসব পু্রুষদের ভোগের জন্য ঐ বেশ্যা নামটি দেওয়া হয়েছে তারা নাকি তাদের সব পূণ্য ঐ দুয়ারে হারিয়ে আসে!!
তার মানে এই বেশ্যা নামটা জিইয়ে রাখা চাই।
এখোনো বলবো আমরা আধুনিক হয়েছি!!?
মুসলমান ধর্মে এটা ‘হারাম’-হিন্দু ধর্মে মহাপাপ এবং শুধু হিন্দু মুসলমান নয় সব ধর্মেই এটা গর্হিত পাপের আওতায় পরে তবে এই একবিংশ শতাব্দীতেও অবাক হতে হয় যে এটাকে উঠিয়ে দেওয়ার পরিবর্তে এর আইনি নাম দেওয়া হলো যৌনকর্মী আর তাদের বাসগৃহের সভ্য জগতের পোষাকি নাম পতিতালয়! সাবাস একবিংশ শতাব্দীর আধুনিকী করণ!
একটি প্রশ্ন-যদি সমস্ত ধর্মের অনুশাসনে একে পাপ বলে ঘোষিত হয় তবে এগুলো আইন করে উঠিয়ে দেওয়া হচ্ছেনা কেন!!?? আর এ নিয়ে কোন ধর্মের কোন উপাসকদের সোচ্চার হতে কেন দেখা যাচ্ছেনা???!!!
এগুলো আইন করে বন্ধ করাহোক আর ঐ পেশায় নিয়োজিত সমস্ত নারীকে সরকার থেকে পুনঃর্বাসন দেওয়া হোক। না হলে দেশ থেকে দেশে -বিদেশে পাচার হয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার নারী -বাচ্চা শিশু মেয়ে- কিশোরী হারিয়ে যাচ্ছে আর পরে এরাই সরকারি স্ট্যাম্পে যৌনকর্মী নামে একটা পিছিয়ে পরা জাতির অন্ধকার দল ভারী হচ্ছে।কিন্তু সরকারই পারে এ গুলো একদিনে উঠিয়ে দিতে।
আচ্ছা বেশ্যা শব্দের আক্ষরিক শব্দ নয় এর ঠিক পুংলিঙ্গ শব্দটা কি?!!
নারী অগ্রগতির সবচেয়ে বড় অন্তরায় এই পতিতালয় আর যা আমরা ভুলেও এটা ওঠানোর জন্য আন্দোলন করিনা কিন্তু কেন?!!!
আমাদের ঘরের পুরুষ সেখানে তার চরিতার্থ পূরণ করবে আর তাতে আমার ঘরটি সভ্য জগতে অকলঙ্কিত ভাবে আলোকিত হবে তার জন্য??!!!
প্রতিদিন কাগজে নারী-কিশোরী বাচ্চা মেয়ে হারানোর খবর রাশিরাশি ।
আমাদের একজনের মেয়ে হারিয়েছে তাইতে এতো উতলা হওয়ার অত কি আছে? আসুন আমরা এই একবিংশ শতাব্দীর সকল সভ্য ধর্মের উপাসকরা ও বুদ্ধিজীবী নর-নারীরা কিটি পার্টি সেরে এদের জন্যে একটু মোমবাতি মিছিল করি!!!
Add Comment