সাময়িকী: শুক্র ও শনিবার
-রেহানা বীথি
যখন হাত পেতে রাখি
শূন্য করতলে রেখাচিহ্ন চোখে পড়ে।
যখন মুঠো করি হাত
ভাগ্যরেখা পুরোটাই ঢেকে যায়, এবং
তাদের জন্য করুণার অস্ফুট শব্দ ভাষা পায়।
কে জানে কেন, যতবার যাই, ফিরে আসি যতবার
ওই পুরোনো ধারার কাছে অজস্র কথা রেখে আসি
রেখে আসি দু’ফোঁটা চোখের জল।
হতে পারে সে জল কান্নার
হতে পারে আনন্দের অশ্রু
জানি না, তবুও রেখে আসি।
যতবার রেখে আসি, ততবার বোঝাতে চাই
সিঁড়ি, চৌকাঠ, চৌকাঠ পেরোনো ঘর
ফুলদানিতে শুকনো গোলাপের ঝরে পড়া পাঁপড়ি
এসব একসময় আমার ছিল।
আজও আছে, তবু যেন নেই।
তবু যেন পায়ের নিচের মৃত্তিকা
কোনো চিহ্ন না রেখে কোথাও না কোথাও
দু’টো ভাগ হয়ে গেছে।
দু’ভাগেই আমি দাঁড়াই, দাঁড়িয়েই থাকি, নিঃশব্দে।
Add Comment