সাময়িকী: শুক্র ও শনিবার
-নূর এ আলম
তাঁকে কখনো করোনা অসম্মান আছে যার সৎকর্ম,
বরং তাঁকে করো সহায়তা যে করে তোমার স্বচ্ছতা।
গতকাল দেখেছি আমি রেললাইনের পাশে,
কিছু মানুষ কাজ করিতেছে ময়লার ডাস্টবিনে।
কুকুরগুলো লুটপাট করে খায় হাড্ডির মাংস,
আর কাকগুলো লুটেপুটে খায় ভুঁড়ির অংশ।
রোগাক্রান্ত মায়ের সাথে ছেঁড়া কাপড়ে সন্তান,
পলিথিন মোড়ানো হলুদ সাদা ভাতগুলো খায় খুঁজে।
অনেক দিনের খাবারগুলো পঁচিয়া গলিয়া দুর্গন্ধযুক্ত,
জন্মানো পোকামাকড়গুলো বিশ্রী ভয়ানক সঞ্চার।
তা দেখিয়া সাহেবজাদারা মুখে রুমাল বেঁধে চলে,
যেনো সম্পূর্ণ দায় ওই মানুষরূপী নিঃশ্ব বস্তিবাসীর।
আমরা কখনো তাদেরকে কোনো সহায়তা করি না,
বরং অত্যাচার আর সাহায্যের নামে করি ডাকাতি।
আমরা কখনো তাদেরকে আত্মসম্মান দেই না,
অথচ! তারাই সমাজের সর্বোত্তম কাজটি করে।
আমরা এমনভাবেই তাঁদেরকে বিবিধ হুকুম করি,
যেনো তারা সামাজে সকল মানুষদের দাস দাসী।
আমরা এমনভাবেই তাঁদের থেকে দূরে সরে যাই,
যেনো ঘামাচি ভরা কালো শরীরে ঘামের গন্ধ আসে।
আমরা কখনোই তাদেরকে সৎ চোখে দেখিনাই,
আমরা কখনোই তাদের সাথে সদাচরণ করিনাই।
আমরা কখনোই তাদের জীবনের গল্প শুনিনাই,
আমরা কখনোই তাদের জীবনকে ভেবে দেখিনাই।
ওঁদের ফুটপাতের ওই একটি চালায় এক বিছানা,
কেমন করে কাটায় ওঁরা রাত্রি বেলার জীবনধারা।
আবার সকাল পূর্বেই বেরিয়ে পড়ে শহরের অলিগলিতে,
নাই ঘুম নাই করী কেমন করে চালে ওঁদের জীবন তরী।
আমি অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম সেই দিকে,
তাঁরাও মানুষ, আমিও মানুষ, পথচারীও মানুষ।
তবে কেনো এমন তফাৎ?
তবে কেনো এমন আচরণ?
Add Comment