রকমারি

১০৪ বছর বয়সী স্বামীর মৃত্যুর এক ঘণ্টার মধ্যে চলে গেলেন শতবর্ষী স্ত্রীও

হ্যালোডেস্ক

জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে নাকি আল্লাহই ঠিক করেন। আর কথায় বলে, বিয়ে নাকি সাত জন্মের বাঁধন। সে কথাই যেন জীবন দিয়ে প্রমাণ করে দিলেন ৮০ বছর ধরে একসঙ্গে থাকা ভারতের তামিলনাড়ুর এক দম্পতি। হঠাৎ স্বামীর মৃত্যু মানতে পারেননি স্ত্রী। প্রিয়জনের বুকে মাথা রেখে কাঁদতে কাঁদতেই সংজ্ঞা হারালেন বৃদ্ধা। এতে স্বামীর মৃত্যুর এক ঘণ্টার মধ্যেই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন শতবর্ষ ছোঁয়া স্ত্রী-ও।

ওই দম্পতির নাম ভেট্রিভেল এবং পিচাই। তারা তামিলনাড়ুর পুডোকোট্টাইয়ের বাসিন্দা। পেশায় কৃষক ভেট্রিভেল জীবনের ১০৪টি বসন্ত কাটিয়ে ফেলেছেন। পিচাই তার থেকে মাত্র বছর চারেকের ছোট। প্রায় আশি বছর আগে ঘর বাঁধেন দু’জনে। তারপর থেকে আর কেউ কখনই আলাদা থাকেননি। জীবনের ভাল সময় যেমন একসঙ্গে কেটেছে তেমনই দুঃসময়ে দু’জন দু’জনকে আগলে রেখেছেন। ঝগড়াঝাটি হয়েছে কিন্তু একা রেখে কেউ দূরে সরে যাননি। বয়স বেড়েছে যত প্রেম যেন ততই গাঢ় হয়েছে।

বর্তমানে বয়সের ভারে ন্যুব্জ হয়ে যান দু’জনেই। দিনকয়েক শরীরও ভাল যাচ্ছিল না তাদের। আজ এ রোগ তো কাল সেটা যেন লেগেই ছিল। এহেন ভেট্রিভেলের সোমবার রাতে বুকে যন্ত্রণা শুরু হয়। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। চিকিৎসকরা বৃদ্ধকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। নির্ধারিত নিয়মানুযায়ী ডেথ সার্টিফিকেট পাওয়ার পরই বাড়ি নিয়ে চলে আসা হয় ভেট্রিভেলের নিথর দেহ। যার সঙ্গে আশি বছরের সংসার তার মরদেহ দেখে ডুকরে কেঁদে ওঠেন পিচাই। তাকে আগলে রাখতে পারছিলেন না কেউই। কাঁদতে কাঁদতে স্বামীর বুকে মাথা রেখে তিনি। আচমকা ভেট্রিভেলের মৃত্যুতে চোখের পানি বাঁধ মানছিল না তার সন্তান, নাতি-নাতনিদেরও।

আবেগঘন মুহূর্তের মাঝে আচমকাই জ্ঞান হারান পিচাই। কিছুক্ষণ তার স্বজনরা জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করেন। তবে বিশেষ লাভ না হওয়ায় চিকিৎসককে খবর দেওয়া হয়। চিকিৎসক পিচাইকে মৃত ঘোষণা করেন।

একসঙ্গে পরিবারের দুই জ্যেষ্ঠ সদস্যকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ তাদের ছেলে-মেয়ে, তেইশজন নাতি-নাতনিসহ আত্মীয়-স্বজনরা।

আর্কাইভ

ক্যালেন্ডার

October 2024
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031