―মিলন মাহমুদ রবি
গোটা বিশ্বে দীর্ঘমেয়াদী লকডাউন থাকায় হু হু করে কমছে বায়ুদূষণের মাত্রা! ঘরবন্দি মানুষ আজ খালি চোখে দেখতে পাচ্ছে ঝকঝকে নির্মল আকাশ! মন ভরে দেখছে রাতের আকাশে ফেরারি মেঘের যাতায়াত। স্মরণকালের মধ্যে এমন স্বচ্ছ আকাশ আর দেখা হয়নি!
দল বেঁধে পাখিরা উড়ছে ভাসমান ওই আকাশে। বিশাল সমুদ্রের বুকে আপন মনে খেলছে সভ্যতা থেকে দূরে সরে যাওয়া ঝাঁকে ঝাঁকে ডলফিন। মায়াবিনী হরিণীও সমুদ্র জয় করার আনন্দে নেচে বেড়াচ্ছে। রাতের আকাশকে খুব কাছ থেকে দেখছে গৃহবন্দি মানুষগুলো। তারাদের সাথে গুনগুন কেউ কথাও বলছে। এমন রাতজাগা আকাশে তারা দেখার সৌভাগ্য কত কাল যে হয়ে উঠিনি তার হিসেব কি কষেছে কেউ?
অদৃশ্য এক ভাইরাসের কাছে অশান্ত আজ সবাই, যেখানে বেঁচে থাকাটাই আশাক্ষীণ হয়ে পড়েছে। যেখানে দুনিয়ার ভোল পাল্টে যাচ্ছে। পাল্টে দিচ্ছে আমাদের মানসিকতা, আমাদের জীবনযাত্রা। সে খানে গোটা পৃথিবী দাঁড়িয়েছে আজ এক আকাশের নীচে। অজানা অচেনা প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সবাই একজোট হয়ে।
ভয়াবহ করোনা ঢেউ স্রেফ এক-দু’মাসের গল্প নয়। একটা ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়ে বাজারে আসতে সময় নেবে কমপক্ষে ১২ থেকে ১৬ মাস। এর মধ্যে সারাবিশ্বের মানুষ আক্রান্ত হবে দফায় দফায়। করোনার ছোবলে প্রাণহানী কত যে ঘটবে সেটা বুঝতেই পারছেন।
তাই এখনই সময় সচেতন হওয়ার। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা একান্ত জরুরী হয়ে পড়েছে। আমাদের গৃহবন্দি হয়ে থাকতে হবে আরো কিছুদিন। বিশ্ব যেখানে লকডাউনে আছে, সেখানে আমাদের এতো হেয়ালিপনা করার সময় এখন নয়। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় আরো কঠোর হতে হবে প্রশাসনকে। কঠোর আর সচেতনতার মধ্যেই হয়তো লুকিয়ে আছে কাঙ্খিত মুক্তি।।
Add Comment