পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা
হ্যালোডেস্ক
প্রিয় নবী রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, রমজান মাসের প্রথম ১০ দিন হলো রহমত; তার দ্বিতীয় ১০ দিন মাগফিরাত; এর শেষ ১০ দিন হলো নাজাত। সাধারণভাবে বলা হয়ে থাকে, প্রথম ১০ দিন আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের প্রতি রহমত বা দয়া বণ্টন ও বিতরণ করতে থাকবেন। দ্বিতীয় ১০ দিন আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের ক্ষমা করতে থাকবেন। শেষ ১০ দিন আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের জাহান্নাম থেকে নাজাত বা মুক্তি দিতে থাকবেন।
রমজান মাসের শেষ ১০ দিন নাজাত বা মুক্তির, সুতরাং এই সময়ে আমাদের করণীয় হলো দুনিয়ার সবকিছুর আকর্ষণ ও মোহ থেকে মুক্ত হয়ে আল্লাহর প্রেমে বিভোর হওয়া। গাড়ি, বাড়ি, নারী এবং সম্পদ, সন্তান, সম্মান এগুলোর মোহমায়া থেকে আপন মন ও মানসকে সম্পূর্ণ মুক্ত করা এবং সেসবের আকর্ষণ থেকে পরিপূর্ণরূপে মোহমুক্ত থাকা।
সর্বোপরি আল্লাহ পাকের স্বয়ম্ভরতা, স্বনির্ভরতা, মুক্ততা ও নিরপেক্ষতাসংক্রান্ত নামসমূহ হৃদয়ঙ্গম করে এর প্রভাব লাভ করে এবং বৈশিষ্ট্য অর্জন ও অধিকার করে আত্মস্থ করার চেষ্টা করা এবং আজীবন তার ধারক-বাহক হয়ে তা দান করা বা বিতরণ করা, তথা আল্লাহর গুণাবলি নিজের মাধ্যমে তাঁর সৃষ্টিরাজির কাছে পৌঁছে দেয়া।
আল্লাহ তাআলার স্বনির্ভরতা ও মুক্ততাসুলভ নামগুলো হলো: আল আহাদু (একক), আল ওয়াহিদু (এক), আস সামাদু (স্বনির্ভর, অমুখাপেক্ষী), আল আদলু (ন্যায়ানুগ), আল হাক্কু (সত্য), আল কাবিউ (সুদৃঢ়), আল মাতিনু (শক্তিমান), আল কদিরু (ক্ষমতাবান), আন নুরু (জ্যোতির অধিকারী, আলোক দানকারী), আর রশিদু (দিব্যজ্ঞানী), আল জামিলু (সুন্দর), আল বাররু (সৎকর্মশীল), আল মুহসিনু (সুকর্তা) ইত্যাদি। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘দুনিয়ার আকর্ষণ সকল পাপের মূল।’ (বুখারি, মুসলিম ও তিরমিজি)
নাজাতের এ ১০ দিনের মধ্যে রয়েছে লাইলাতুল কদর নামের একটি রাত। যা হাজার মাস থেকেও শ্রেষ্ঠ। এ রাতে যে ব্যক্তি ঈমান ও ইহতিসাবের সাথে ইবাদত-বন্দেগি করবে তার অতীতের পাপগুলো ক্ষমা করে দেয়া হবে।
Add Comment