সাময়িকী: শুক্র ও শনিবার
-মতি গাজ্জালী
চাঁদ সেদিন কেবল আমার-ই ছিল; সে-ও ছিল
ছিল না শুধু পেছন ফেরার সময়; ভাবি নি রাত কখনো ভোর হয়।
অন্য একটা বিকেল কেবল আমার-ই ছিল; তার-ও ছিল
ছিল দিগন্তবিস্তৃত সবুজ মাঠ আর রাখালের ঘরে ফেরা,
ফেরা যে আমাদেরও হবে তেমন ভাবি নি দুজন।
সেই পড়ন্ত রোদেলা বিকেলে টিয়ারঙের শাড়ি বুঝি একটাই বুনেছিল তাঁতি,
সাথি আরও ছিল তার; তবুও আমরা কথা বলেছি দিগন্তের ঠোঁটে,
শুনেছি দুজন দুজনাকে আকাশের কানে পাশাপাশি হেঁটে হেঁটে।
নদী-ঘাটের ইজারা নিয়েছিলাম একা; তুমি জল ভরতে কলসকাঁখে এসেছিলে,
তুলেছিলে ঢেউ জলে চোরা চাহনির ছলে আমার-ই ইজারা ঘাটে,
জল ভরেছ না হৃদয় দিয়েছ তা লিখে রেখেছ ললাটে।
বৈশাখীমেলাও ছিল সেবার আমার একান্ত; তোমার তখন যৌবন বাড়ন্ত,
প্রান্ত ছুঁয়ে ঘুরে ঘুরে সুরে সুরে উৎসব ছিল ম্লান; দুজনের স্পর্শে,
মেলারও যে শেষ হয়; ছোঁয়াও যে বিচ্ছিন্ন হয়; বুঝলাম অবশেষে।
একদিন; সব আমার পর হলো। দখলিস্বত্ব হারালো,
বাড়ালো কেউ কাবুলিওয়ালার মুনাফার হাত; সবই বেহাত,
অকস্মাৎ মনে হলো; ফিরে যদি আর নাই-বা আসি…
Add Comment