হ্যালোডেস্ক
গত ১৬’অক্টোবর ২০২০ শুক্রবার ধানমন্ডি সাত মসজিদ রোডের দ্যা ফরেস্ট লাউঞ্জ রেঁস্তোরার রুফটপে প্রাকৃতিক ও মনোরম পরিবেশে সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নানা আয়োজনে উদযাপিত হয়েছে “ব্যাচমেট ৯২ বাংলাদেশ “-এর প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও বন্ধু মিলনমেলা।
“ব্যাচমেট ৯২ বাংলাদেশ” প্রতিষ্ঠাতা সালেহ রনক বলেন, মূলত সারা বাংলাদেশের এস এস সি ৯২ ব্যাচের সমমনা সকল বন্ধুদের একই ছাতার নিচে নিয়ে আসার লক্ষে ফেসবুক ভিত্তিক এই গ্রুপটি প্রতিষ্ঠা করি।পাশাপাশি নির্মল বন্ধুত্বের বন্ধনে সকলের প্রয়োজনে, আনন্দে-বেদনায় একযোগে শরীক হওয়া। বন্ধুর বিপদে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে লড়াই করাই ছিল মুল উদ্দেশ্য। ইতিমধ্যে আমরা চার লক্ষের অধিক অর্থসাহায্য নিয়ে এক অসুস্থ বন্ধুর পাশে দাঁড়িয়েছি। ভবিয্যতে এই প্লাটফর্ম আরও সামাজিক ও মানবিক কাজে সম্পৃক্ত থাকবে।আমার সকল বন্ধুর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।
গ্রুপের প্রতিষ্ঠাকালীন এবং সক্রিয় সদস্য কবি, কথাশিল্পী ও গণমাধ্যমকর্মী তাহমিনা শিল্পী বলেন, মিডিয়া ও সাহিত্য নির্ভর গ্রুপ ছাড়াও বিভিন্ন প্রয়োজনে পাঠকজন ও প্রিয়জনদের আবদারে, এমনকি ব্যাচ৯২’র বেশ কয়েকটি গ্রুপসহ আমি প্রায় দুইশ’র মত গ্রুপে যুক্ত আছি। সত্যিবলতে কি ব্যাচমেট ৯২ বাংলাদেশ তাদের মধ্যে অন্যতম।গ্রুপের সকল সদস্যদের আন্তরিকতা, সহযোগিতা এবং পারস্পারিক ভালোবাসা অতুলনীয়। স্কুলের স্বাদে আবেগে আড্ডায় বন্ধুতায় আমাদের দুর্দান্ত সময় কাটে।
১৬ অক্টোবর সকাল ৯ টায় কোরআন তেলওয়াত ও গীতা পাঠ এর মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সুচনা হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে সমবেত কন্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, শরীরচর্চা করা হয়।তারপর উপস্থিত বন্ধুদের পরিচিতি পর্ব ফটোস্যুট, আড্ডা ও হা হা হি হি,উপস্থিত বন্ধুদের নিজস্ব পরিবেশনা ও যেমন খুশি তেমন নৃত্য, র্যাফেল ড্র সহ ছিল সকলের জন্য উন্মুক্ত ও নির্ধারিত ৩টি ইভেন্ট।ইভেন্টগুলো হচ্ছে উপস্থিত বন্ধুদের নাম বলা, স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ পাঠ করা এবং পাঁচমিনিটে ইচ্ছেমত ছবি আঁকা।
অনুষ্ঠানে নির্ধারিত ইভেন্টগুলোর প্রথম স্থান অধিকারী বন্ধুদের,গ্রুপে এক বছরের সেরা ও সর্বোচ্চ পোস্টদাতা দুজন বন্ধুকে এবং র্যাফেল ড্র-র পাঁচজন ভাগ্যবানকে বন্ধুকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।
উপস্থিত বন্ধুদের স্মারক উপহার হিসেবে সকলের জন্য দেয়া হয় ব্যাচমেট ৯২ বাংলাদেশের লোগো সমৃদ্ধ একটি করে টিশার্ট ও উপস্হিত বন্ধুদের গ্রুপ ছবিসহ তাৎক্ষনিকভাবে বাঁধাই করা একটা ফটোফ্রেম।
অনুষ্ঠানের সবচেয়ে আকর্ষন ছিল প্রকৃতপক্ষে বাংলার মা ও মাটিকে কণ্ঠে ধারণ করা বাউল জাহাঙ্গীর হোসেন ও তাঁর দলের পরিবেশনায় বাউল সঙ্গীত।যা ব্যাচমেট ৯২ বাংলাদেশের অনু্ষ্ঠানের আয়োজনকে নিঃসন্দেহে ব্যতিক্রম ও ভিন্নতার আমেজ দিয়েছে।
চমৎকার এই আয়োজনের আহবায়ক সালেহ রনককে মানসিকভাবে সাপোর্ট ও সহযোগিতা করেছে গ্রুপের সকল সদস্য।তবে সকল কাজে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতায় ছিল যে বন্ধুরা তারা হল,জিয়ান জিয়া,হাসিনা জান্নাত কুইন (এডমিন),ইমাম মোরশেদ,মনির খান,ফারজানা শাহরীন পপি এবং তাহমিনা শিল্পী।
সবশেষে প্রতিষ্ঠাতা সালেহ রনকের সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শেষ হলেও সকলে আনন্দঘন দিনটির দারুণ মুগ্ধতার রেশ নিয়ে ফিরে গেলো।এবং সকলেরই মুখে একটিই কথা আসছে বছর আবার হবে।ভালো থেকো বন্ধুরা।
Add Comment