সাময়িকী: শুক্র ও শনিবার
-কবির জুয়েল
কবিতা’কে ভালোবেসেই কবি’র প্রতি মুগ্ধতা বাড়ে;
তুমিও একদিন সেভাবেই মুগ্ধতা নিয়ে এসেছিলে
ভেবেছিলে ভালোবাসার ছলনায় ভুলে
দু’চার লাইন কবিতায় ঠাঁই পেতে।
ভেবেছিলে এই আনন্দে যে,
কেউ তোমাকে নিয়ে কবিতা লেখে, আর
লিখবে ততদিন যতটা দিন কবি হৃদয়ে ছলনার ক্ষত থাকবে।
কবি মন এতটা ছলনা বোঝেনা বলেই
তোমার মিথ্যে গালভরা স্বপ্নে বিভোরে পড়ে থাকে।
কবিতার দু’চার লাইনে আনমনে ঠিকই আ’স
জানালার ওপারের আকাশ থেকে কবি মনে বড় হও
স্বপ্ন মায়া টান বাড়াও
অতঃপর
ভালোবাসার মায়া বাড়িয়ে হঠাৎ হিসেব কষে;
এটা বুঝে ফেল তুমি কবিতায় বাড়ি নেই, গাড়ি নেই
কবিতায় দামি উপহার নেই;
কবিতায় নেই চিরকালের স্বার্থ ঐশ্বর্য।
তাই ছলনাও ঠিক বেশিদিন থাকেনা তোমার;
তুমি বদলে যাও, থামিয়ে দাও ছলনা
থামিয়ে দাও মিথ্যে যতো অভিনয়,
কতটা দাপট থাকে সে অভিনয়ে
জানে শুধু কবি হৃদয়;
কতোটা নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটে কবি মনে
তা বুঝবার দায় তুমি রাখনি কখনো।
কারণ এ হত্যাকাণ্ড দেখা যায়না
এই নির্মমতার মূর্তি রুপ তোমার ভালো থাকায় হানা দেয় না।
কবি মন হারে, হেরে যায়;
শুধু দিন রাত কবিতাগুলি হারায় না।
কবিতাগুলি তোমাকে নিয়ে লেখা আর হয়না;
বিরহ, ব্যথা, অপ্রাপ্তি থেকে যায়;
নেশায় ডুবে থাকা মানুষটাও হারিয়ে যায়।
যদি সময় পাও-
একদিন অস্তমিত সূর্যটার দিকে তাকিয়ে দেখো
কতটা গাঢ় বর্ণ ধারণ করে সে ডুবে যায়;
কতটা গভীর অন্ধকারে হারিয়ে যায়;
দেখ, একদিন পড়ন্ত বেলায়
তোমার বিশাল বড় বাড়ির ছাদে গিয়ে;
বুঝবে কতটা গাঢ় রক্তাক্ত হৃদয় করে
কবিকে বিদায় করলে।
কবি মনে কবিতায় তুমি থাকবে হয়তো
শুধু তোমার কাছে থাকবেনা কিছু;
দিনের আলো কিংবা আঁধারে।
গাড়ি, বাড়ির ভালোবাসায় মুগ্ধ রবে তুমি
জীবনের বেলা শেষে হয়তো খুঁজবে; হয়তো বুঝবে
“ভালোবাসা গ্রহণে ভালোবাসা প্রদানে একটা মন লাগে
ভালোবাসি বলা আর মানুষটাকে ভালোবেসে
ভালোরাখার দায় যে মনে নেই
তাকে ভালোবাসা বলা যায় না যে”
Add Comment