আজকের দেশ

না ফেরার দেশে এটিএম শামসুজ্জামান

ফাইল ছবি

হ্যালোডেস্ক।।  শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে হাসপাতাল থেকে খানিক সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান। তাকে কাছে পেয়ে সবার মনে ফিরিছিলো স্বস্তি। রাত পোহাতেই সেই কিংবদন্তি চলে গেলেন না ফেরার দেশে।

শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার খানিক আগে পরিবারের সদস্যরা মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হন। ধারণা করা হচ্ছে শনিবার ভোরে পুরান ঢাকার সূত্রাপুর নিজ বাসভবনে পরিবারের সদস্যদের অজান্তে কোনও এক সময় না ফেরার দেশে পাড়ি জমান দেশের অন্যতম এই অভিনেতা।

অভিনেতার মেয়ে কোয়েল আহমেদ সংবাদ মাধ্যমে বলেন, ‘শুক্রবার বিকালে আব্বাকে বাসায় নিয়ে আসছিলাম। উনি হাসপাতালে থাকতে চাইছিলেন না। তাই বাসায় নিয়ে আসছিলাম। সকালে দেখি আব্বা নাই।’

গত বুধবার বিকালে তীব্র শ্বাসকষ্ট নিয়ে রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তির পর চিকিৎসকেরা প্রথম দিকে ধারণা করেছিলেন, এ টি এম শামসুজ্জামান করোনায় আক্রান্ত। পরীক্ষার জন্য নমুনা নেওয়া হয়। ফলাফলে জানা যায় করোনা নেগেটিভ। পরদিন এই অভিনেতার স্ত্রী রুনি জামান জানান, হাসপাতালে ভর্তির পর থেকেই তারা চিন্তিত। কারণ, এ অভিনেতার বয়স হয়েছে। শরীরও দুর্বল। তা ছাড়া গত কয়েক বছরে একাধিক অস্ত্রোপচার হয়েছে তার শরীরে। সব রিপোর্টের ফল ভালো পেয়ে কিছুটা চিন্তামুক্ত সবাই। এরপরই বাসায় ফেরেন এটিএম শামসুজ্জামান।

এ টি এম শামসুজ্জামান বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা, পরিচালক, কাহিনিকার, চিত্রনাট্যকার, সংলাপ লেখক ও গল্পকার। অভিনয়ের জন্য বেশ কয়েকবার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। শিল্পকলায় অবদানের জন্য ২০১৫ সালে পেয়েছেন একুশে পদক।

১৯৬৫ সালে অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্র আগমন হয় এই অভিনেতার। ১৯৭৬ সালে চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’ সিনেমায় খল চরিত্রে অভিনয় করে আলোচনায় আসেন তিনি।

বরেণ্য অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানকে রাজধানীর জুরাইন কবরস্থানে সমাহিত করা হবে। শনিবার জোহরের পর জানাজা শেষে এটিএম শামসুজ্জামানকে জুরাইন কবরস্থানে তার বড় ছেলে কামরুজ্জামান কবিরের পাশে সমাহিত করা হবে বলে জানান, তার ছোট ভাই সালেহ জামান জানান।

 

আর্কাইভ

ক্যালেন্ডার

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930