-নুর এ আলম
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
“অভিশপ্ত আগস্ট”
“বঙ্গবন্ধু” একটি ভালোবাসার নাম।
“বাংলাদেশ” একটি রক্তক্ষয়ী ইতিহাসের নাম।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের মাটি ও মানুষকে কতটা ভালোবেসেছেন? কিন্তু পরবর্তী প্রজন্ম এই সম্পর্কে কতটা জানেন? কতটা শ্রদ্ধাশীল? এমন মহান নেতার সৃজনশীলতাকে নিশ্চয়ই নিঃস্বার্থভাবে সবাই স্বরণ করেন এবং তার উদ্দেশ্য গুলো সম্পর্কে গবেষণা করেন।
তার হত্যা কান্ডর উপর নির্মিত একটি মঞ্চ নাটক “অভিশপ্ত আগষ্ট” ব্যাপারে আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন; যারা থিয়েটারে খোঁজ খবর রাখেন।
আমি “অভিশপ্ত আগষ্ট” এই মঞ্চ নাটকটি ঢাকার বিভিন্ন হলে বহুবার দেখেছি। বাংলাদেশ পুলিশ থিয়েটারের পরিবেশনায় এমন একটি ইতিহাস ভিত্তিক ঘটনাকে বাস্তবে দেখতে পাড়াটা সত্যিই কৃতজ্ঞের ব্যাপার। দেখেছি কিভাবে স্বাধীনতা উত্তরণের পর স্বার্থের লোভে মানবিকতাকে পদদলিত করে নিজ গোত্রের লোকেরাই নিজ গোত্রের লোকদেরকে হত্যা করে। তাহলে এটাই কী বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা? চরমভাবে শিক্ষা দেয় ও নাড়া দেয় স্বীয় ‘বিবেককে’।
যখন ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট মধ্যরাতে একদল সেনা কর্মকর্তা কর্তৃক শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করে ফেলে। তখন শুনেছি নাবালক কন্ঠ আর্তনাদের মুখে নির্দয় গুলির হুঙ্কার! কিছুক্ষণ পরেই করুন ভারী রাত স্তব্ধ, যেনো মুজিবের সমগ্র সংগ্রাম হঠাৎ চুপ হয়ে গেল। যে মানুষটি বেঁচে থাকতে লড়াই করেছেন Human Rights Violations এর বিরুদ্ধে, পক্ষে থেকেছেন সর্বদাই স্বাধীনতার, বৈষম্য থেকে মুক্ত করতে গরিব-দুঃখী মানুষদের দলে।
আজ সেই উদার বুকেই গুলি চালালো পাষন্ডরা। কখনো কী ন্যায়বিচারকে উপ্রে ফেলে কোনো জাতির মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা যায়? ৪৭ বছর পরে এসেও প্রার্থমীক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্তৃক শিশু নির্যাতন, ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া কর্তৃক সামাজিক বঞ্চনা, দলীয় মুখোশধারীদের ক্ষমতার অপব্যবহার প্রতিফলিত।
বাঙালি বড়ই হরেক রঙের!!
ব্যক্তিস্বাধীনতা ও সামাজিক মূল্যবোধ প্রতিটি নাগরিকের কাছেই খুব গুরুত্বপূর্ণ।
বন্ধুরা, ইচ্ছে করে আবাক চোখে নাটকটি বারবার দেখি আর বারবার হৃদয়কে বিদারক করি। যারা নাটকটিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সবার expression extremely. আমি সকলকে সাধুবাদ জানাই। যদি মঞ্চে Boom microphones ব্যাবহার করা নাও হয় তারপরেও দর্শকদের জন্য যথেষ্ট।
ধন্যবাদ, নাটকটির রচনায় ও নির্দেশনায় পুলিশ পরিদর্শক জাহিদ রহমানকে এবং ধন্যবাদ তথ্য, সংকলন ও গবেষণায় ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমানকে। অতি সাধারণ ও সংক্ষিপ্তভাবে সকলের নিকট সত্য ইতিহাসের পূর্ণ রূপ তুলে ধরবার জন্য।
নুর এ আলম
শিক্ষার্থী: এমএসএস জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
Add Comment