হ্যালোডেস্ক।। অভিনেত্রী ও চিত্রশিল্পী বিপাশা হায়াতের পেইন্টিং ‘প্রিমাভেরা-গ্যালারি অব বিডি আর্ট’ এখন নিউইয়র্কের এই জেকসন হাইটসে। নিউইয়র্কে বাংলাদেশিদের কাছে জনপ্রিয় যে ক’টা জায়গা আছে তার মধ্যে জেকসন হাইটস অন্যতম। তারমধ্যে ব্যস্ততম রাস্তা হচ্ছে ৭৪ স্ট্রিট। জ্যাকসন হাইটস রুজভেল্ট এভিনিউতে ট্রেন থেকে নামলে যে রাস্তাটা চোখে পড়ে সেটাই ৭৪ স্ট্রিট।
এই এলাকায় বাংলাদেশিদের আধিপত্য চোখে পড়ার মতো। সেই ৭৪ স্ট্রিটের টিডি ব্যাংকের উল্টোপাশে আইএসপি-র দোতলায় ‘প্রিমাভেরা-গ্যালারি অব বিডি আর্ট’। ফেব্রুয়ারি প্রথম দিন থেকে এই গ্যালারিতে রাখা হয়েছে বিপাশা হায়াতের চব্বিশটি চিত্রকর্ম।
উদ্যোক্তাদের মতে, বিপাশা হায়াতের পেইন্টিং দেখতে হলে আগে থেকে রিজার্ভেশন নিয়ে আসা ভালো। তাহলে সামাজিক দূরত্ব বজায়ে রাখা যায়। এ ব্যাপারে বিপাশা হায়াত বলেন, প্রথমত আমি খুবই এক্সাইটেড যে, জ্যাকসন হাইটসে একটা গ্যালারি হয়েছে যেখানে বাংলাদেশি আর্টিস্টদের চিত্রকর্ম জায়গা পাবে। জ্যাকসন হাইটস বাঙালিদের প্রাণ কেন্দ্র।
জনপ্রিয় এ অভিনেত্রী আরও বলেন, আমার এই সিরিজের নাম রাখা হয়েছে ‘ইনসাইডার’। আমি বলব এটা প্রিমাভেরা কর্তৃপক্ষের দূরদৃষ্টির নিদর্শন। আমার ভাবনার সাথেও নামটা মিলে গেছে। আমি আসলে ছবি আঁকি না ছবি প্রকাশ করি। আমি ছবির মাধ্যমে আমার ভেতরের ভাবনাগুলো দৃশ্যমান করার চেষ্টা করি। আমি মনে করি, আমরা যখন কথা বলি তার চেয়ে বেশি কথা বলি যখন কিছু বলি না। আমার কাছের মানুষেরা জানেন, আমি যখন ছবি আঁকি তখন আমাকে চোখ বন্ধ করে ভাবতে হয়।
‘কিছু ছবি আছে যেখানে আমি এই পৃথিবীর প্রাচীনতম মানুষগুলোর ভাষা আবিষ্কারের চেষ্টা করেছি। কারণ আমি মনে করি, সভ্যতার যাত্রায় প্রাচীনতম যে মানুষগুলো ছিল তাদের সাথে আমাদের কোনো পার্থক্য নাই। তাই তাদের ভাষাগুলো বুঝতে চাই তাদেরকে বোঝার জন্য। পাশাপাশি আমাদের ভাষাগুলো আবিষ্কার করতে চাই আমাদের নিজেদেরকে বোঝার জন্য।
বর্তমান ব্যস্ততা নিয়ে কথা হলে বিপাশা বলেন, এখন আমার তিনটা কাজ- নাটক লেখা, ছবি আঁকা এবং পড়ালেখা করা। রোমান এম্পায়ারের আগে পড়ে সে সভ্যতার উত্থান পতন তার সাথে ধর্মের যে প্রভাব এবং সংমিশ্রণ সেটা নিয়ে পড়ার চেষ্টা করছি। এখান থেকে নিজেকে এবং নিজের কাজগুলোকে আবিষ্কারের চেষ্টা করছি।
তিনি আরো বলেন, ‘প্রিমাভেরা’ নিউইয়র্কে একটি নতুন গ্যালারি। চলুন আমরা সবাই ছবি দেখতে যাই। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে চিত্রকর্মে আগ্রহী করে তুলি। তাহলে তাকে ভবিষ্যৎ বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলানোর জন্য উপযুক্ত করে তৈরি করা হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে বিপাশা হায়াতের একক চিত্র প্রদর্শনী হয়েছিল ম্যানহাটানের নিউইয়র্ক ডিজাইন সেন্টারের ট্রান্সফরম গ্যালারিতে। ২০১৯ সালের মে থেকে ২০২০-এর মে পর্যন্ত। বিপাশা হায়াতের চিত্রকর্ম প্রদর্শনের পর শীঘ্রই প্রিমাভেরায় আসছে ‘আইরিসিস’ এর পোশাক প্রদর্শনী।
Add Comment