সাময়িকী: শুক্র ও শনিবার
-শামসুদ্দিন হীরা
হে প্রিয় প্রকৃতি তুমিও ক্রমশঃ এগিয়েছো গ্রীষ্মের দিকে
কাঠফাটা শূন্যতাকে আঁকড়ে ধরতে চেয়ে অতলে বিলীন হলে।
বিচ্যুতির সব ধূলিকণা শুকনো পাতা উড়িয়ে নিয়ে ভূতলে গড়ালে।
শূন্যকালের খরায় পাতা ঝরা শুদ্ধতায় শুধুই উড়োউড়ি।
ঝোঁপে কিন্নরী আগাছার শুকনো ডালের দু’টো পাতার প্রেমে পড়ে লাভ কি বলো?
পর্ণমোচীর নিঃস্বতায় সে স্রেফ ঝরা পাতা!
কতো বুনো ফুল রঙ ছড়িয়ে ফুটে,
তাকে কেউ স্পর্শ করে না!
কত পাখি আকাশ নীলে ডুব দেয়,
ঘরে ফেরার পথ ভুলে।
কতো সংসারী সংসার মোহে পতনকে মেনে নেয়,
তাকেও তোমরা সংসারী বলো!
কোন এক আর্যপুরুষ বাসা বেঁধেছে ঊরুতে যোনীতে জঙ্ঘায় লোমে সেও কি প্রেম?
তাকেও স্বামী বলে মানো!
গরম ঠোঁটের তূণ বিঁধেছিল তোমার
তুলতুলে বুকে নয় বিষেনীল হৃদয়ে, সে তো চুম্বন নয়!
তাকে তুমি ব্যাধ বলে ডেকো।
কতো নারী এভাবে মনোবৈকুল্যে সাজায় সংসার
ভোগ হয় প্রতি রাতে।
হে নারী, তাকে তুমি ভুল বলে ডেকো ; ভুল মানুষ কখনো প্রেমিক নয়।
প্রতিরাতে পৃথিবী ডুবে নারীকে ডুবায় নোনা জলে,
প্রেমহীন হৃদয়হীন কাম মাংসপিন্ডীতে কসাইয়ের কারুকাজ।
যে অন্ধকারে সুড়ঙ্গ খোঁজে যোনিপথে সে নিশিপুরুষ নয়,
তাকে কাপুরুষ বলে জেনো।
এমনি করে হয়তো পুরুষ চেনা যায় না;
যে স্বপ্ন দেখায়।
মোটা ভাত ছাপা সুতি কাপড় আর একরুমের ভাড়া ঘরের।
তাকেই না হয় পুরুষ বলো মেনো!
এমন পুরুষকে স্বামী মেনো,
যে তোমাকে আস্ত একটা রৌদ্রজ্জ্বল সকাল উপস্থাপন করার কথা ভাবে।
হে নারী,
ঘোরলাগা বৃষ্টির দিনে প্রতিনিয়তের মতো প্রেমিক পুরুষের বুকে ফিরে এসো।
সমস্ত মাদকতার নেশা নিয়ে বিবস্ত্র হয়ে গরম শ্বাস ফেলো প্রিয় বিছানায়।
জাগিয়ে তোল প্রেম বিশ্বাস উদারতা কোমল করো হৃদয়।
অতপরঃ হে অন্তর্গত, তুমি অগ্রসর হও গুপ্ত খেয়াপথের খোঁজে।
Add Comment