সাময়িকী: শুক্র ও শনিবার
-নুর এ আলম
…হায়!.., আজ বহুদিন!!
গেট বন্ধ,তালা ঝুলে আছে;
ভেতরে ঘুটঘুটে অন্ধকার, বাহিরে নিরব, টু-টা শব্দ, কেউ নেই।
সবাই ছেড়ে চলে গেছে, প্রাণে বাঁচবার -লাগি;
দূর দূর, দূর হতে দূর যে যার বসত -বাড়ি;
সুধু পরে আছে মায়া।
কফি হাউজ, নীশাত চত্বর, বটতলা, নন্দন মঞ্চের রঙ্গ নৃত্য আর সবুজ ঘাসে ফাঁকা মাঠের সেই আড্ডা, আজ আর নেই;
আজ আর নেই বাংলা একাডেমীর পুকুর পাড়ে রাজহাঁসের ডাক শোনার কেউ, নেই নাটমন্ডলে নাটক করবার কেউ, নেই কচিকাঁচা আর শিশু একাডেমীর শিশুদের মেলা, নেই টিএসসি মোড়ে অসংখ্য রং চায়ের কাপে ধুয়ায় ধুয়ায় চুমুকের শব্দ, নেই রমনা পার্কের বৃক্ষ ছায়ায় নীটোল প্রেমের সাজ, নেই বিদ্রোহী কন্ঠ নূরুল হক নূরের সাহাবাগে সমাবেশ, নেই কোনো নিত্য নতুন টিভি পর্দায় হরেন বাজানো নিয়ে বিতর্ক;
সজ্জিত নগরী, ব্যাস্ত জনপদ, কোঁকড়া কোঁকড়া চুল, ছেড়া স্যান্ডেল, বুক ভরা চেতনা আর চোখ জুড়ে ভালোবাসা নিয়ে হেঁটে চলা, মহিলা সমীতির মঞ্চ কাঁপানো সেই ছেলেটাও আজ নেই, নেই বেইলী রোডে প্রতি সন্ধ্যার বংশীবাদক সেই আনিসূর রহমান ভাই, নেই শিল্পী, নেই আসর, নেই শ্রোতা, নেই কোনো উৎসব;
নেই! আজ আর নেই! কোনো গল্প, কোনো সুর;
আছে! বিপুল আছে! কিন্তু তা কেবলি আতংকের, নির্মমতার, আর্তনাদের, চির বোধের।
এতো গুরুজন, এতো আয়োজন, এতো এতো শিষ্য, কোথায় আজ? কোথায় তারা?
হ্যাঁ, সাথে আছে পুস্তক –অমীয় বাণী নজরুলের প্রভাঃ
“অসুন্দর পৃথিবীকে সুন্দর করতে; সর্বনির্যাতন থেকে মুক্ত করতেই মানুষের জন্ম”
তাই একদিন মুক্ত হবে জগতের মানুষ, মানুষের প্রজ্ঞা;
জীবন -মরন -প্রত্যাশা, এ যে মানুষেরই সাঙ্গ;
মনোবল আর দৃঢ় বিশ্বাস দিতে পারে মানুষকেই পরিত্রাণ;
তোমরা ভেঙ্গে পরোনা হে শ্রেষ্ঠ প্রাণ, সময় এসেছে সুস্থ থাকিবার শপথ করো-গো নিয়ম মানিবার;
সারা দেও? সারা দেও? ওহে চিত্তে বলিয়ান?? নহে সংশয়, নহে অন্যথায়, নিজেই নিজের দুর্জয়।
মাঝে মাঝে শুনি ড. জাফরুল্লাহ’র কথা, কীট এসেছে চিকিৎসালয়;
এভাবেই একদিন শুনিবে ভ্যাকসিনোও রটেছে তোমার দেশে;
তখন বন্ধ গেটে খুলবে তালা, জ্বাল্ববে আলো মঞ্চ পাড়া;
দিকে দিকে রঙ ছড়াবে শিল্প বেজায় ধারা;
আহা! জমবে আবার আগের মতই গল্পে প্রেমের সাড়া;
তাইতো আছি মোরা সেই আশাতেই, গড়ব যেদিন “করোনা” ব্যাধীর টিকা।
Add Comment