সাময়িকী: শুক্র ও শনিবার
-সাজ্জাদ পারভেজ কিসলু
যদি তুমি বলো তোমার রুপের প্রশংসা করতে
স্বভাবজাতভাবে বলবো তুমি খুব সুন্দরী।
তুমি যদি এভাবে সরলে শুনতে না চাও
সবার মতো করে, তাহলেও বলবো তুমি সুন্দরী।
যদি আমার কবিতার তুমির মতো শুনতে চাও
কাব্য করে, হৃদয়ের অনুরননে প্রেমী কবিদের মতো—-
মৃদু অমিয়ধারায় প্রজ্ঞা আর লাবন্যতায়।
তাহলে বলব পৃথিবীর সব অতু্যজ্জ্বল
বহুমূল্য রত্ন তোমার হাসিতে-
যেনো রাতের গায়ে জ্বলে উঠা আচমকা সূর্য তুমি।
ঠিক তুমি যেনো দহন জ্বালায় হিংসের চাঁদ
পূর্ণিমার দেহে-রূপটি তোমার অনন্যা।
যদি বলো তাতে ভস্ম হবার ইচ্ছে কি হয় আমার?
তখন আমি সলজ্জ অমিয়ধারায় বলব,
এমন দহন আমাকে আর মানায় কি?
মনে পরে তোমার-
অজস্র মানব মানবী হাটছিলো দেয়ালের মতো
অন্তরাল দিয়েছিলো আমাদের গোপন মিলনে।
একি প্রেম নাকি গভীরের টান জানা ছিলো না দুজনের।
তোমার কুঞ্চিত চুলের গুচ্ছ মোলায়েম হয়ে উড়ছিলো।
সান্নিধ্য চেয়েছি তোমার আত্মমনে।
কী আশ্চর্য আত্মসমর্পন, বসেছিলে আমার কাছে।
তোমার মৃদু নরম বুকের গরমে নিমগ্ন হয়েছি আমি।
সাদা গোলাপের মতো শাড়ির আঁচল
তোমার নিতম্ব ছুয়ে মিলেছিলো মসৃন কোমরে।
হীরা মুক্ত অলঙ্কার দু্যতিময় সেখানে দেখেছি।
চন্দময় দেহলতা, অপরুপ সুন্দরী সে তুমি।
দেবির মতো দেহরেখা, আর যুগল চোখের
অমিয়ধারায় যেন এক মুকুর বসানো ছিলো
আমাকে আকর্ষিত করার মানসে।
আমাকে টানছিলো অমোঘ আত্মীকতায়
আরাধনার আরাধ্য বন্ধনে।

Add Comment