হ্যালোডেস্ক
করোনা ঠেকাতে কাজ করছে চীনের চিকিৎসকরা বলেছেন, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারগুলো করোনা ভাইরাস ঠেকাতে দারুণ কার্যকরী। আগে থেকেই শোনা যাচ্ছিল, করোনা ভাই’রাসে আক্রান্তের ফলে ফুসফুস থেকে শুরু করে শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্ষ”তি হয়।
গবেষকরা চেষ্টা করছেন, স্মৃতি নষ্ট হয়ে যাওয়া সারিয়ে তোলার ব্যাপারেও আরো বিশদ ভাবে গবেষণা করতে। তারা বলছেন, সারা বিশ্বে ভিটামিস সি সাপ্লিমেন্টের পেছনে বছরে অন্তত আটশ ৮০ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ হচ্ছে। ২০২৪ সালের মধ্যে এই অঙ্ক ১.১ বিলিয়ন পাউন্ডে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সর্দি ঠেকাতে দারুণ ভাবে কার্যকরী ভিটামিন সি। এদিকে করোনা ভাইরাসের লক্ষণের মধ্যে সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া, জ্বর রয়েছে। ক্ষত থেকে শুরু করে ভাই’রাসের আক্রমণ থেকে বাঁচতে ভিটামিন সি কার্যকর। ভিটামিন সি গ্রহণের ফলে ইমিউন সিস্টেম চাঙা হয়ে যায়।
চিকিৎসকরা বলছেন, ভিটামিন সি গ্রহণের ফলে শ্বেত রক্তকণিকা সক্রিয় হয়ে ওঠে। বিভিন্ন ধরনের ভাইরাসের সঙ্গে এটি লড়াই করে। এমন কি তাদের আক্রমণ করে মেরে ফেলে। অতি মাত্রায় ভিটামিন সি গ্রহণে করোনা ভাইরাস সেরে যাবে কি না সে ব্যাপারে চীনে গবেষণা চলছে। তবে এখনো সেই গবেষণার ফল প্রকাশ করা হয়নি।
উহান ইউনিভার্সিটির অধীনে ঝংনান হসপিটালের চিকিৎসকরা এ ব্যাপারে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই গবেষণার আওতায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ১২০ জন কে টানা সাতদিন ২৪ গ্রাম করে ভিটামিন সি দেওয়া হয়েছে। এখনো ফল হিসেব করে বের করা হয়নি। তবে গবেষকরা বলছেন, ভিটামিন ‘সি’ দেওয়ার ফলে ইতিবাচক ফল এসেছে।
সাতটি জিনিস মানলেই কমবে করোনার ঝুঁকি, লাগবে না মাস্ক…
মাস্ক ব্যবহার করে করোনা ভাইরাস এড়ানোর চেয়ে ৭টি পদ্ধতির মাধ্যমে এই রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা উন্নত করা সম্ভব। ভাইরাস থেকে মুক্তি পাবার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার উপযুক্ত সময় এখন।
এটা অবাক করা বিষয় নয় যে ভালো খাওয়া, ভালো ঘুম,পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা জী’বাণু থেকে দূরে রাখে। তবে কি ভাবে রো’গ প্রতিরোধ ব্যবস্থা কাজ করে তাই জানার বিষয়।
রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা হলো কোষ, অঙ্গ, প্রোটিন ও এ্যান্টিবডির সমন্বিত রুপ। এটি এমন নয় যে যখন শুধুমাত্র আমরা অসুস্থবোধ করি ঠিক তখনই রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা কাজ করে। জেনে নিন, যে ৭টি পদ্ধতিতে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা উন্নত করা যায়-
১. খাবারের তালিকায় রসুন, পেয়াজ, আদা, হলুদ এবং গোল মরিচ যোগ করুন যা রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।
২. গ্রিন টি পান করুন। গ্রিন টিতে রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা ইনফেকশনকে দূরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৩. প্রতিদিন ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমের অভ্যাস গড়ে তুলুন।
৪. মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকা। ইয়োগা, মেডিটেশনের মত বিষয়গুলো প্রতিদিনের তালিকায় রাখা।
৫. বাইরে যাওয়ার সময় গরম কাপড় সাথে রাখা। মূলত ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার নিচে জীবাণু বিস্তার করে বেশি।
৬. দিনে কম পক্ষে আট গ্লাস পানি পানের অভ্যাস গড়ে তোলা। পানি শরীরে ক্ষতিকর টক্সিনের পরিমাণ কমাতে সহায়তা করে যা অসুস্থতাকে দূরে রাখে।
৭.খাবার তালিকায় লেবু অনেক গুরুত্বপূর্ণ। রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে লেবু।
Add Comment