সাময়িকী: শুক্র ও শনিবার
-আলী এরশাদ
খেলতে যাবো ডাকলো বাবা বললো “ঘরে থাকো
অংক করো, বাংলা পড়ো এবং ছবি আঁকো।
পুরোনো সব পড়াগুলো দাও রিভিসন বসে
সুকুমারের রাইম পড়ো ডুবে থাকো রসে।
সোজা কথা শুনে রাখো বাইরে যাওয়া বারণ
এখন সময় খুবই খারাপ ‘করোনা’ তার কারণ।”
কদিন ধরে ঘরেই আছি ভাল্লাগে না আর
বোরিং লাগে সময় যেন চায় না হতে পার।
ঘরের ভেতর কেমন করে উড়াই বলো ঘুড়ি?
বন্ধুরা নেই কার সাথে বা খেলি লুকোচুরি।
সঙ্গীবিহীন বন্দী জীবন ভীষণ একা লাগে
মুক্ত হাওয়ায় ঘুরতে আমার ইচ্ছে শুধু জাগে।
সপ্তাখানেক হয়ে গেলো সাইকেলে না উঠি
জানি না আর ক’দিন থাকে? ইশকুল আমার ছুটি।
ফড়িঙ এবং প্রজাপতির কবে পাবো দেখা?
বন্দীদশা কাটবে কখন ভাঙবে সীমারেখা?
প্রজাপতির পিছু পিছু আমরা ক’জন মিলে
মনে পড়ে ছুটে যেতাম হাওর, নদী, বিলে।
মাঠ পেরিয়ে তেপান্তরে ফুল পাখিদের ভীড়ে
কবে আবার যাবো বলো ব্রহ্মপুত্রের তীরে?
বন্ধ এখন গোল্লাছুট আর বন্ধ ক্রিকেট খেলা
টিভি দেখে ক্যারাম খেলে কাটে অলস বেলা।
কত কী মা রান্না করে ভরে না তো মন
মনটা আমার যায় হারিয়ে যেথায় সবুজবন।
পাখিরা বেশ ভালোই আছে নেই ‘করোনার’ ভয়
উড়ছে এবং ডাকছে সুরে কী যে মধুময়!
পাখির মতো উড়ব কবে ছুটব মাঠে মাঠে?
ভাল্লাগে না কো’রেন্টাইন থাকতে শুয়ে খাটে।
তারচে’ বরং মারুক স্যারে ইশকুলই বেশ ভালো
এই অন্ধকার কাটবে কবে আসবে কবে আলো?
Add Comment