-নিশি নুর রজনী
আজ আর আমার গাঁয়ের বিলে,
শাপলা শালুক ফোটে না।
মেঘ জমলেই রাখাল তো আর,
ধেনু আনতে ছোটে না।
সাঁঝের বেলা হাসের পিছে,
ছোটে না আর কেউ।
হুকো হাতে কেও থাকে না,
নেই আহ্লাদের ঢেউ।
জোছনা রাতে সপটি পেতে,
বাহিরে বসতো আসর।
তালমিলিয়ে হাছনাহেনা,
সুবাসে গড়তো বাসর।
নব বধূ ঘোমটা টেনে,
দৃষ্ট ঢাকতো লাজেতে।
কুটুম্ব এলে খর বিছিয়ে,
গঁদি আটতো মেঝেতে।
ক্ষণদা কাটতো ঢেঁকির পারে,
ছাটাই হতো চাল।
দেখতে পাই না রাখালের সেই,
জোড়া বলদের হাল।
সন্ধ্যা বেলায় সন্ধ্যা প্রদীপ,
শূলানোর ছিলো তাড়া।
শালুক খই দাদিমা করতো,
বিলুপ্ত সে ধারা।
সাপের খেলা, বানর খেলা,
প্রখ্যা ছিলো বেশ।
বায়স্কোপে লোঁচন বাঁধলে,
থাকতো না আর ক্লেশ।
হারিয়ে গেছে অনেক কিছু,
কালের আবর্তনে।
পোড়ামাটির গন্ধ নেই আর,
সভ্যতার কাননে।
Add Comment